কমতে কমতে পড়ুয়ার সংখ্যা কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছিল। ভবনের অবস্থাও ছিল জরাজীর্ণ। মাঝেমধ্যেই ছাদ থেকে ভেঙে পড়ত চাঙড়। এই অবস্থায় নিউ আলিপুর এলাকার জ্যোতিষ রায় রোডে শিশু শিক্ষালয় নামে একটি প্রাথমিক স্কুল ভেঙে ফেলা হল।
স্থানীয় কাউন্সিলর অমিত সিংহ বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে আতঙ্কে ভুগত। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্কুলভবন ভেঙে নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলবাড়িটি ভাঙার কাজ প্রায় শেষ। ওই স্কুলের পড়ুয়াদের পাঠানো হয়েছে পাশের একটি স্কুলে। শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, সাধারণত যে স্কুলবাড়িগুলির অবস্থা খারাপ, সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ আগে পুরসভায় বিষয়টি জানান। তার পরে স্কুলভবন মেরামতির কাজে হাত দেয় শিক্ষা দফতর। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিকের স্কুল ডেভেলপমেন্ট কমিটিতে কাউন্সিলর থাকেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্কুলবাড়ি সংস্কারের কাজ করতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও শিক্ষা দফতরকে ঠিক ভাবে জানিয়ে করা দরকার।’’ শিক্ষা দফতরের আর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কাউন্সিলর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, স্কুলের পুরো জায়গাতেই নতুন ভবন তৈরি করে দেবেন।’’