আরজি কর হাসপাতালে হামলা হামলাকারীদের। বুধবার মধ্যরাতে। ছবি: নিজস্ব এবং সংগৃহীত।
আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে ন’জনকে। বৃহস্পতিবার লালবাজারের একটি সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। তবে সরকারি ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানায়নি কলকাতা পুলিশ।
বুধবার মধ্যরাতে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ‘মেয়েদের রাত দখল’ শীর্ষক কর্মসূচি চলছিল। সেই সময়েই আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালান একদল ব্যক্তি। তছনছ করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। হামলা চালানো হয় হাসপাতালের বাইরের চত্বরেও। ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, এমনকি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চও! পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলাও চালানো হয়। কিন্তু যাঁরা হামলা চালালেন, তাঁরা কারা? বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়।
বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার সকালে ‘সন্ধান চাই’ বিজ্ঞপ্তি দেয় কলকাতা পুলিশ! কলকাতা পুলিশের সমাজমাধ্যমের পাতায় ওই অশান্তির ঘটনার ৫০টিরও বেশি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে লাল গোল দাগে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চায় পুলিশ।
সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টে লেখা হয়— ‘‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে।’’ তারই সঙ্গে ইংরেজিতে লেখা বার্তা— ‘‘যে কেউ নীচের ছবিতে লাল রঙে বৃত্তাকার ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারেন। সরাসরি আমাদের কাছে বা আপনার স্থানীয় থানার মাধ্যমে তা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’’ ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লালবাজারের একটি সূত্রের তরফে ন’জনকে গ্রেফতারের খবর জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy