নিজের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখে লিখতে গিয়ে শুক্রবার মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে ধরা পড়লেন এক পরীক্ষার্থী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-র অবশ্য দাবি, এটি টোকাটুকির ঘটনা। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয় নয়।
মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ সূত্রের খবর, উমেশচন্দ্র কলেজের পঞ্চম সিমেস্টারের ওই পড়ুয়া এ দিন বাণিজ্য শাখার পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষা ছিল সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত। ১২টা ৪৫ নাগাদ নজরদার শিক্ষক খেয়াল করেন, ওই পরীক্ষার্থী মোবাইল দেখে লিখছেন। ওই শিক্ষক ভাল করে দেখেন, ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র পেয়ে ৯টা ৫৯ মিনিটে ওই পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র মেসেজ করেন। এর পরে উত্তর আসতে থাকে।
অন্তর্বর্তী উপাচার্য বলেন, ‘‘এটা টোকাটুকির ঘটনা। মোবাইল নিয়ে কেউ ঢুকেছে বলে দুপুরের দিকে পরীক্ষা নিয়ামককে কলেজের তরফে জানানো হয়েছিল। আমরা পুরো রিপোর্ট চেয়ে পাঠাই। ওই পরীক্ষার্থীকে ‘আরএ’ করতে বলা হয়েছে।’’ সংবাদমাধ্যমকে কলেজের টিচার ইন-চার্জ বলেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ রাতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য বলেন, ‘‘কলেজ তাদের রিপোর্টে প্রশ্ন ফাঁসের উল্লেখ করেনি। শুধু বলেছে, মোবাইল ফোন-সহ এক পরীক্ষার্থী ধরা পড়েছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)