ফ্ল্যাটে ঢুকে কলেজের ছাত্রীকে অজ্ঞান করে ‘ধর্ষণ’

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া এক তরুণীর ফ্ল্যাটে ঢুকে, তাঁকে অচৈতন্য করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তাঁরই এক বান্ধবীর বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে বুধবার নির্যাতিতা তরুণী আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, অভিযুক্ত যুবক পলাতক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২১-এর ওই নির্যাতিতা তরুণী আদতে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। আনন্দপুর থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন তিনি এবং তাঁর এক বান্ধবী। সেই থানা এলাকারই একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েন ওই তরুণী। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন তাঁর বান্ধবী। সারা রাত ঠাকুর দেখে তরুণী ভোরে বাড়ি ফিরে আসেন। তিনি বাড়ি ফেরার পরে সকালের দিকে ঠাকুর দেখতে বেরোন ওই বান্ধবী এবং তাঁর এক বন্ধু।

নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগ, তাঁর বান্ধবী বেরিয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে হঠাৎই ফ্ল্যাটে আসেন বান্ধবীর বন্ধু, অভিযুক্ত যুবক। তিনি জানান, তাঁর বান্ধবী কিছু জিনিস ফ্ল্যাটে ফেলে গিয়েছেন। সেগুলি নিয়ে যেতে হবে। এতে তরুণীর কোনও সন্দেহ না হওয়ায় তিনি দরজা খুলে দেন। অভিযোগ, ওই যুবক ফ্ল্যাটে ঢুকেই তরুণীকে খাবারের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে খাইয়ে তাঁকে অজ্ঞান করে দেন। এর পরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

জ্ঞান ফেরার পরে তরুণী পুরো ঘটনাটি বুঝতে পারলে অভিযুক্ত যুবক তাঁকে ভয় দেখান বলে অভিযোগ। ঘটনাটি কাউকে জানালে তার ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দেন তিনি। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে জোর করে ঝাড়খণ্ডের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওই যুবক।

বাড়ি ফিরে প্রথমে তরুণী ভয়ে কাউকে কিছু না বললেও পরে পরিবারের সদস্যদের সব খুলে বলেন। এর পরেই তরুণীর পরিজনেরা বিষয়টি পুলিশকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে বুধবার ওই তরুণী আনন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

বুধবার রাতেই তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করায় পুলিশ। লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তাঁর বয়ানও। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত যুবক কলকাতার বাসিন্দা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তরুণীর বান্ধবীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।