E-Paper

বাড়ির বারান্দা থেকে উদ্ধার প্রৌঢ়ার দগ্ধ দেহ

পুলিশ সূত্রের খবর, সর্বাণী ও তাঁর স্বামী মৃণালকান্তি পাল একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে বিদেশে কর্মরত। সর্বাণী উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ডায়াবিটিস, স্নায়ুর অসুখ, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৫ ০৯:৩১
মৃতার নাম সর্বাণী পাল (৬৭)।

মৃতার নাম সর্বাণী পাল (৬৭)। —প্রতীকী চিত্র।

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এক প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার হল পর্ণশ্রী থানা এলাকার পাড়ুই পাক্কা রোডের একটি বাড়ি থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সর্বাণী পাল (৬৭)। বৃহস্পতিবার তাঁকে বাড়ির দোতলার বারান্দায় ওই ভাবে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর স্বামী। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রৌঢ়া আত্মঘাতী হয়েছেন। একটি সুইসাইড নোট মিলেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সর্বাণী ও তাঁর স্বামী মৃণালকান্তি পাল ওই বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের একমাত্র ছেলে বিদেশে কর্মরত। সর্বাণী উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, ডায়াবিটিস, স্নায়ুর অসুখ, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এ দিন মৃণাল সকাল ৭টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে দোতলায় যান। দোতলায় শুতেন সর্বাণী। মৃণাল গিয়ে দেখেন, ঘরে তাঁর স্ত্রী নেই, বারান্দা থেকে কেরোসিনের গন্ধ আসছে। তখন তিনি বারান্দায় গিয়ে দেখেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সর্বাণী। পাশে পড়ে কেরোসিনের বোতল ও গ্যাস লাইটার। দ্রুত মৃণাল প্রতিবেশীদের ডাকেন। সর্বাণীকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, সর্বাণীর শোয়ার ঘরে যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে, তাতে লেখা ছিল, একাধিক অসুখে জর্জরিত হয়ে তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। পুলিশ সেই হাতের লেখা খতিয়ে দেখছে।

তদন্তকারীরা জানান, ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

police investigation Behala

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy