প্রতীকী ছবি।
ড্রোন কিনতে গিয়ে প্রতারিত হলেন এক যুবক। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় এমনই অভিযোগ করেন তিনি।
গত জুনে অনলাইনে কেনাবেচার একটি সাইট ঘেঁটে সোদপুরের বাসিন্দা, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন সৌরভ ভৌমিক সন্ধান পান একটি ড্রোনের। তা কিনতে মোট ৮৯ হাজার টাকা দেন। এর পরেই বুঝতে পারেন তিনি ঠকেছেন। সৌরভ জানান, পঞ্জাবের বাসিন্দা রোহন শর্মা ড্রোনটি বিক্রির জন্য ওই সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সৌরভ যোগাযোগ করলে প্রথমে রোহন নিজের আধার এবং প্যান নম্বর পাঠান। পরে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কথা শুরু করেন। স্থির হয়, ৭০০ গ্রাম ওজনের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে ছবি তুলতে সক্ষম ড্রোনটি কিনবেন সৌরভ। সে জন্য তিনি রোহনকে ৭ সেপ্টেম্বর নীলেশ কুমার নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম পাঠান। কেন? সৌরভের কথায়, ‘‘নেট দুনিয়ার মাধ্যমে যিনি বিক্রি করেন, তিনি যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলেন সেখানেই পাঠাতে হয়।’’
এর পরেই সৌরভকে একটি ‘কনসাইনমেন্ট’ নম্বর দিয়ে বলা হয়, সেটি অনুসরণ করে জানা যাবে কবে ড্রোন পৌঁছবে। তখন বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। সৌরভ দেখেন, কানাডা থেকে ভারতে এসে আচমকাই সেটি বেপাত্তা হয়ে যায়। যোগাযোগ করলে রোহন জানান, দিল্লির শুল্ক দফতর থেকে ড্রোন ছাড়াতে ৪৮,৯৫০ টাকা দিতে হবে। ১১ সেপ্টেম্বর অন্য দুই ব্যক্তির দু’টি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান সৌরভ। এ দিকে, রোহনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে নতুন নিয়ম চালু করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বলা আছে, ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের, বড়জোর ৫০ ফুট পর্যন্ত উড়তে সক্ষম ড্রোন বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনে ওড়াতে পুলিশের অনুমতি প্রয়োজন। তবে সৌরভ যে ড্রোন কিনছিলেন, সে জন্য ডিজিসিএ-র অনুমোদন লাগে। সৌরভ বিষয়টি জানতেন না। লালবাজারের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy