ফের গোয়া সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র
আগামী সোমবার গোয়া যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, তাঁর উপস্থিতিতেই প্রকাশিত হবে গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা। কারা কারা জোড়াফুলের প্রার্থী হবেন, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে গোয়া নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে ভারপ্রাপ্ত নেত্রী তথা দলীয় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। সেখানে মতামত নেওয়া হয়েছে অভিষেকেরও।
অভিষেকের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং উপস্থিতিতে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশিত হলে বোঝা যাবে, তারা কাদের সঙ্গে জোট করছে বা আদৌ করছে কি না। তৃণমূলের অন্দরের একাংশের বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে একটা সমঝোতার চেষ্টা এখনও চলছে। ওই অংশের দাবি, তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের তরফে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলা হয়েছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল-সহ মোট ছ’টি দকে নিয়ে একটি মহাজোট গড়ে গোয়ার ক্ষমতাসীন বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে তৃণমূলেরই একাংশ আবার জানাচ্ছে, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল যাবে না। কারণ, সম্প্রতি দলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে তুলোধনা করা হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, তৃণমূল এই প্রথম গোয়ার বিধানসভা ভোটে এত সক্রিয় ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মহুয়াকে যেমন সেখানে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তেমনই তাঁর সঙ্গে পাঠানো হয়েছে দলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক একাধিক বার গোয়া সফরে গিয়েছেন। মমতা যএমন সভা করেছেন, তেমনই অভিষেক সভা করা ছাড়াও বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে পূজার্চনা করেছেন।
ভোটের দিন ঘোষণার পর এটিই অভিষেকের প্রথম গোয়া সফর। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পর অভিষেককে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করেন মমতা। দায়িত্ব পেয়েই অভিষেক জানিয়েছিলেন, দলকে রাজ্যের বাইরে বিস্তৃত করাই তাঁর লক্ষ্য। এবং তিনি যে রাজ্যে যাবেন, সেখানে ক্ষমতা দখলের জন্যই যাবেন। সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরা এবং গোয়ায় সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে গোয়ায় অভিষেকের প্রথম ‘পরীক্ষা’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy