অজিতা ঘোষ (দত্ত)
তাঁদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠতেই ‘বেপাত্তা’ হয়ে গিয়েছিলেন কামারহাটির এক তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামী। ১৪ দিন নিখোঁজ থাকার পরে সোমবার ব্যারাকপুর আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন ওই দম্পতি। বিচারক তিন হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
কামারহাটির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের নাম অজিতা ঘোষ (দত্ত)। তাঁর স্বামী তাপস দত্ত ওই ওয়ার্ডের সভাপতি। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিবু নাগ নামে এক যুবক কামারহাটির পুর চেয়ারম্যান তথা বেলঘরিয়া টাউন তৃণমূলের সভাপতি গোপাল সাহার কাছে অজিতাদেবী ও তাপসবাবুর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ জানান। শিবুর অভিযোগ, চেয়ারম্যানকে জানানোর জন্য তাঁকে ফোনে হুমকি দেন অজিতাদেবী। তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতেও হামলা চালান। পুলিশে জানালে অজিতাদেবী শিবুকে খুনের চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই অজিতাদেবী ও তাপসবাবুর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারেননি।
এ দিন ওই দম্পতি ব্যারাকপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে জামিনের আবেদন করেন। তাঁদের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, তাঁর মক্কেলদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকারি আইনজীবী পল্লব চৌধুরী জামিনের বিরোধিতা করলেও বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। তাঁর নির্দেশ, টানা এক মাস তাপসবাবুকে প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে বেলঘরিয়া থানায় হাজিরা দিতে হবে। অজিতাদেবীকেও তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, কাউন্সিলরের নাম করে শিবুর বিভিন্ন অনৈতিক কাজ সামনে এসেছিল। তা নিয়ে আপত্তি করাতেই অজিতাদেবী ও তাপসবাবুকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়। সামাজিক লজ্জা ও ভয়ে কিছু দিনের জন্য তাঁরা নিখোঁজ হয়েছিলেন। অজিতাদেবী এ দিন বলেন, ‘‘আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। যা বলার তা পুরসভার চেয়ারম্যানকে সামনে রেখেই বলব।’’ পুর-চেয়ারম্যান গোপালবাবু বলেন, ‘‘অজিতা জামিন পেয়ে ফোন করেছিলেন। কী ঘটেছিল, তা জানতে ওঁকে দেখা করতে বলেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy