পার্ক স্ট্রিটের সঙ্গে আবারও জড়িয়ে গেল এক মহিলার সম্মানহানির ঘটনা। এ বারও ঘটনাস্থল একটি নাইট ক্লাব। যেখানে শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ পাঁচ মত্ত যুবক এক মহিলার শ্লীলতাহানি করে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে, তাঁর পায়ের উপরে দাঁড়িয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জেনেছে, ওই মহিলার স্বামী দুষ্কৃতীদের ঠেকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।
পুলিশ জানায়, এক বন্ধুর পার্টিতে নিমন্ত্রিত হিসেবে ক্লাবে গিয়েছিলেন দম্পতি। অভিযুক্ত যুবকেরাও সেখানে নিমন্ত্রিত ছিল। তবে দু’পক্ষ পরস্পরের পরিচিত ছিল না। ২০১২ সালে পার্ক স্ট্রিটেরই অন্য একটি নাইট ক্লাব থেকে এক মহিলাকে গাড়িতে তুলে গণ ধর্ষণের ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় হয়েছিল।
এ দিনের ঘটনাস্থল ১৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটের ওই ক্লাব শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকায়। রবিবার থানায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে পাঁচ যুবকের কথা বলা হলেও নির্দিষ্ট ভাবে এক জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশের বক্তব্য, ওই দম্পতি বাকি চার জনের নাম জানেন না। পুলিশ জানায়, ক্লাবে বসার জায়গা নিয়ে বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের। ওই দম্পতি আদৌ নিমন্ত্রিত কি না, সেই প্রশ্ন তোলে অভিযুক্তেরা। মহিলা এই আচরণের প্রতিবাদ করলে পাঁচ যুবক তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। শুরু হয় মারধর। পুলিশ জানায়, মহিলাকে মারধর করতে দেখে বাউন্সারেরা ছুটে যান। তাঁরাই যুবকদের সরিয়ে দম্পতিকে উদ্ধার করেন। ক্লাবের দাবি, ঘটনার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বাউন্সারেরা পদক্ষেপ করেছেন।
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিন্দনীয় ঘটনা। তবে বাউন্সারদের ভূমিকার প্রশংসা করছি। তাঁরা কর্তব্য পালন করেছেন।’’ ডিসি (সাউথ) প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy