বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও সোনিকা সিংহ চৌহান।
রাতের শহরে ফের পথ দুর্ঘটনা। মৃত এক মডেল। আহত, চালকের আসনে থাকা টলিউডের এক অভিনেতা।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ভবানীপুরের একটি হোটেলের পার্টি থেকে বেরিয়ে মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানকে নিয়ে কয়েক জায়গায় ঘোরেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। তার পর কসবার দিক থেকে রাসবিহারীর দিকে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, দ্রুত গতিতে চলা গাড়িটি লেকমার্কেটের একটি অভিজাত মলের কাছে হঠাৎ ফুটপাথের উপরে উঠে যায়। প্রচণ্ড ধাক্কায় উপড়ে যায় একটি সিমেন্টের বেদি। তার পরে সামনের একটি দোকানের দেওয়ালে ধাক্কা মেরে সটান উল্টে, আছড়ে পড়ে গাড়িটি। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিক্রম।
আরও পড়ুন...
রাতের পথ অরক্ষিতই
গাড়ি আছড়ে পড়ার শব্দে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ। গাড়ির দরজা খুলে বিক্রম ও সোনিকাকে বার করেন তাঁরা। একটি ট্যাক্সিতে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সোনিকাকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বিক্রমের মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়েছে। চোট আছে কোমরেও। তিনি স্থিতিশীল। তবে আতঙ্ক এখনও কাটেনি।
মৃত্যু-বাহন: বাঁ দিকের এই আসনেই ছিলেন সোনিকা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
পুলিশের একাংশের দাবি, রাতের ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত গতিতে চলছিল গাড়ি। সেই গতি সামলাতে না পেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। যদিও পুলিশকে বিক্রম জানিয়েছেন, তিনি বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। হঠাৎ গলি থেকে একটি গাড়ি বেরিয়ে তাঁর গাড়িকে বাঁ দিকে চেপে দেয়। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি।
গড়িয়াহাটের দিক থেকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ধরে এসে প্রথম ধাক্কা ফুটপাথের ধারের রেলিংয়ে।
দ্বিতীয় ধাক্কা পতাকা তোলার সিমেন্টের বেদিতে।
বাঁয়ে ঘুরে গিয়ে তৃতীয় ধাক্কা দোকানের দেওয়ালে।
এর পরেই উল্টে যায় গাড়িটি।
পাল্টি খেয়ে আছড়ে পড়ে রাস্তায়। একেবারে উল্টো হয়ে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে তেমন গলি চোখে পড়েনি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে। বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মত্ত ছিলেন না বিক্রম। তাঁর পরিবার জানায়, শুক্রবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে ভবানীপুরের একটি হোটেলে গিয়েছিলেন বিক্রম। সঙ্গে ছিলেন সোনিকা। তাঁর বা়ড়ি হেস্টিংসে। রাতে সোনিকাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন বিক্রম। তাঁর বাবা অভিযোগ করেন, ক’মাস আগে কেনা করোলা অলটিস গাড়ির একটাও এয়ারব্যাগ খোলেনি। তাঁর কথায়, ‘‘দামি গাড়ি কেনা হয় বিপদ থেকে বাঁচার জন্য। কিন্তু কেন সেটা হল না!’’
গ্রাফিক্স: প্রবাল ধর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy