গুদাম থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ভেজাল মশলাও। —নিজস্ব চিত্র।
জোড়াবাগান থানার নাকের ডগাতেই চলছিল ভেজাল মশলার কারবার। কিন্তু ঘূণাক্ষরেও টের পাননি পুলিশ কর্মীরা! শেষে কলকাতা পুলিশেরই এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)-এর অফিসারেরা সেই ভেজাল মশলার কারবারের পর্দা ফাঁস করলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জোড়াবাগান থানা সংলগ্ন কাশী দত্ত স্ট্রিটের একটি গুদামে আচমকাই হানা দেন ইবি-র অফিসারেরা। ওই গুদামে রান্না করার ভেজাল মশলা তৈরি হচ্ছিল। সেখানে পঙ্কজকুমার সাউ নামের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। ওই গুদামের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গুদাম থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকার ভেজাল মশলাও।
পুলিশ সূত্রে খবর, চালের গুঁড়োর সঙ্গে কখনও আটা, কখনও ময়দা মেশানোর পর তাতে রং এবং সুগন্ধী দেওয়া হত। তার পর বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হত ভেজাল হলুদ বা লঙ্কাগুঁড়ো। একই ভাবে তুসের সঙ্গে রাসায়নিক, রং এবং সুগন্ধী মিশিয়ে তৈরি করা হত জিরে গুঁড়ো। এ ভাবেই ভেজাল মশলা তৈরির পর তা প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হত কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে।
আরও পড়ুন: ভোটের কাজ থেকে অপসারিত, দায়িত্বে রত্না, অদ্ভুত ঔদাসীন্য দেখানোর চেষ্টায় শোভন
আরও পড়ুন: কেমন কাজ করল মোদী সরকার? সমীক্ষা বলল, প্রায় সব ক্ষেত্রে মাঝারিরও নীচে নম্বর দিচ্ছেন মানুষ
স্থানীয়দের প্রশ্ন, থানার নাকের ডগাতে এ ভাবে ভেজাল মশলার কারবার চলছে দীর্ঘ দিন ধরে, অখচ পুলিশ জানত না?
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy