মশার উৎস খোঁজার কাজ করছেন পুরকর্মীরা। সোমবার, জাতীয় গ্রন্থাগার চত্বরে। নিজস্ব চিত্র
আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারের ভিতরে জমা জলে মিলল ডেঙ্গির জীবাণুবাহী এডিস ইজিপ্টাই মশার লার্ভা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থায় সাত জন কর্মী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার পরেই ওই গ্রন্থাগারের কর্মীদের আতঙ্ক বাড়তে থাকে। শহরের বুকে ডেঙ্গির সংক্রমণ বাড়লে তা যে কোনও সময়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটা ভেবেই সোমবার পুরসভার ‘র্যাপিড অ্যাকশন টিম’-কে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় গ্রন্থাগারে যান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। সেখানে তাঁদের নজরে আসে ভাষা ভবনের পাশে, বেসমেন্টের নীচে জমা জলে, কর্মী আবাসনে এবং ৪ নম্বর গেটের কাছে কোথাও জল এবং কোথাও জঞ্জাল জমে রয়েছে। পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস জানান, তাতে এডিসের লার্ভা দেখা গিয়েছে। যদিও গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ এ দিন পুরসভার দলকে লার্ভা মারার অনুমতি দেননি বলে জানান অতীনবাবু।
এ দিকে সেখানে ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশার আঁতুড়ঘর গত পাঁচ বছর ধরেই রয়েছে বলে জানান জাতীয় গ্রন্থাগারের স্ট্যাক বিভাগের বেশ কয়েক জন কর্মী। তাঁরা জানান, আগুন লাগলে নেভানোর জন্য জল জমিয়ে রাখা আছে। সেই জল অনেক দিন ধরে জমে থাকায় মশা বেড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রতি বছরই একাধিক কর্মী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। মশা মারার ওষুধ রয়েছে। কিন্তু তা ছড়ানোর লোক নেই। সেই ওষুধ পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। তবুও কর্তৃপক্ষের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ তাঁদের। অতীনবাবু বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এই হাল। নিয়মিত ভাবে জমা জল, জঞ্জাল পরিষ্কার করা হয় না। পুর আইনের ৪৯৬এ ধারায় কতৃর্পক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তবে ওই জাতীয় গ্রন্থাগারের ওএসডি কে কে কোচিকোসি জানান, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। দু’-তিন দিনের মধ্যে সব পরিষ্কার করে
দেওয়া হবে।
এ দিন এসএসকেএম হাসপাতালেও যান পুরসভার লোকজন। যদিও ওই হাসপাতালের মশা দমনের কর্মসূচি দেখে সন্তুষ্ট পুর প্রশাসন। শহরের অন্য হাসপাতালে সে ভাবে কাজ করলে ভাল হয় বলে জানান অতীনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy