পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম বা অরুণা দে (৬৫)। ঠিক কবে তিনি মারা গিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত তিন দিন আগে তিনি মারা গিয়েছেন। তখন থেকে ছেলে মৃতদেহ আগলে বসে ছিলেন।
বাড়ি থেকে বার করে আনা হচ্ছে দেহ। নিজস্ব চিত্র
কলকাতায় আবার রবিসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া! বাবার পর এ বার মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে থাকলেন ছেলে। গরফার একেপি রায় লেনের একটি বাড়ি থেকে বিকট গন্ধ বেরনোয় পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ এসে মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পাশেই প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন ছেলে। তাঁকেও উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম বা অরুণা দে (৬৫)। ঠিক কবে তিনি মারা গিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত তিন দিন আগে তিনি মারা গিয়েছেন। তখন থেকে ছেলে মৃতদেহ আগলে বসে ছিলেন।
ওই তিন দিন ধরে তিনি কিছু খাননি বলে মনে করছে পুলিশ। সে কারণেই ছেলে কৌশিক দে (৪০) অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি-তে ভর্তি করায়।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালেও একই ভাবে বাবা সংগ্রাম দে-র দেহ আগলে বসেছিলেন মা ও ছেলে।
বাবা ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এ কর্মরত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর তাঁর পেনসনের টাকাতেই সংসার চলত। বাবা মারা যাওয়ার পর মাও অর্ধেক পেনশন পেতেন।
এই ঘটনায় কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫-র ১০ জুন রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৭৭ বছরের এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ দেহ। তদন্তে সেই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, মৃত ব্যক্তির ছেলে তাঁর দিদির কঙ্কাল আগলে মাসের পর মাস ওই বাড়িতে ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy