Advertisement
১০ মে ২০২৪

বেরোজগার দিন কাটল শ্রমিকদের

মঙ্গলবার সারা রাত জ্বলেছে আর্মেনিয়ান ঘাট সংলগ্ন একাধিক গুদাম ঘর। প্রায় সাড়ে সতেরো লক্ষ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে পাঁচটি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দমকল সূত্রের খবর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৪৯
Share: Save:

আর্মেনিয়ান ঘাটের পাশে গুদামঘরে বিধ্বংসী আগুনে ওঁদের মাথায় হাত। বুধবার সকাল থেকে সারাটা দিন রোজগার ছাড়াই কাটল ওঁদের।

মঙ্গলবার সারা রাত জ্বলেছে আর্মেনিয়ান ঘাট সংলগ্ন একাধিক গুদাম ঘর। প্রায় সাড়ে সতেরো লক্ষ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে পাঁচটি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দমকল সূত্রের খবর। আগুনের জেরে বুধবার সকালে সেখান থেকে কোনও পণ্য সামগ্রী বার করার কাজ হয়নি। ফলে প্রায় দেড়শো মুটে বা শ্রমিক এ দিন রোজগারহীন হয়ে রইলেন।

মনোজ সাউ, প্রসাদ ঘোষ, মনোরঞ্জন দেব বা আখলাক শেখ— বিহার, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা মনোজ, প্রসাদ বা আখলাকরা গত কুড়ি বছর ধরে বড়বাজার এলাকায় মুটের কাজ করেন। সেখানে ফুটপাথেই তাঁদের বসবাস। রোজ দিনভর গুদামঘর থেকে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বের করে ভ্যানে চাপিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেন তাঁরা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে বুধবার সকাল থেকে গুদামগুলি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। কখন মাল পৌঁছে দেবেন, এই আশায় বুধবার সকাল থেকে সারাটা দিন আর্মেনিয়ান ঘাট লাগোয়া চক্ররেল লাইনের এক পাশে ঘোরাফেরা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু দিনের শেষে প্রাপ্তি হল শুধুই হতাশা।

বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা মনোজ সাউয়ের কথায়, ‘‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই কাজ করে প্রায় এক হাজার টাকা রোজগার করি। কিন্তু আগুন আমাদের আজ পথে বসাল।’’ প্রসাদ ঘোষের আশঙ্কা, ‘‘একটা দিন না হয় গেল, বৃহস্পতিবারও একই অবস্থা হবে নাকি?’’

পুলিশ সূত্রের খবর, পাঁচটি গুদামে একাধিক সামগ্রী থাকে। ভিন্ রাজ্য থেকে গাড়ি ভর্তি সামগ্রী এনে উত্তর বন্দর থানা এলাকার ওই গুদামগুলিতে মজুত করা হয়। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘নিরাপত্তার স্বার্থেই গুদামগুলিকে বন্ধ রাখা হয়েছে। আগুন পুরোপুরি নিভে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিবেচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE