বেহালা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আবার গোলমালের অভিযোগ উঠল। যদিও কলেজ-কর্তৃপক্ষ জানান, এখানে কোনও দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেনি। পর্যাপ্ত হাজিরা না-থাকায় যাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
কলেজ সূত্রের দাবি, সোমবার এক দল পড়ুয়া কলেজের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন। দরজা খুললে কলেজে ঢুকে অধ্যক্ষার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। পরে বেরোতে গেলে তাঁদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধদের দাবি, তাঁদের আটকে রাখা হয়েছিল। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় বলে অভিযোগ।
অধ্যক্ষা শর্মিলা মিত্র জানান, আটকে রাখার অভিযোগ ঠিক নয়। এক পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে মোটরবাইকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইছিলেন বন্ধুরা। সেটা করতে দেওয়া হয়নি। পরিবারের লোকজন না-এলে ওই ছাত্রকে ছাড়া হবে না বলে ঠিক হয়। তা সত্ত্বেও জোর করে অনেকে বেরোতে গেলে ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তার পরেই গোলমাল শুরু হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘বিমানে জঙ্গি’! যাত্রীর মশকরা ২৬/১১-য়
অভিযোগ, ক্লাসে যাঁদের হাজিরার হার ৬০ শতাংশের কম, টাকার বিনিময়ে তাঁদের পরীক্ষায় বসার প্রতিশ্রুতি দেন ছাত্র সংসদের কিছু সদস্য। তার প্রতিবাদে গত শনিবার বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এই নিয়ে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠী ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতিও হয়। অধ্যক্ষা বলেন, ‘‘এখানে ও-সব গোষ্ঠী নেই। হাজিরা না-থাকায় ২০০ জনকে আটকে দেওয়া হয়েছে। পঠনপাঠনের সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না।’’ কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন দু’দল পড়ুয়াকে নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী দেখছেন। আমি কিছু বলব না।’’
আরও পড়ুন: আকণ্ঠ মদ ও উদ্দাম গতির জেরেই দুর্ঘটনা