E-Paper

কোর্টের নির্দেশের আগেই ট্রাম তুলে দিতে তৎপর রাজ্য, অভিযোগ

মামলাকারী সংগঠনটির অভিযোগ, হাতে গোনা চালু রুটগুলি থেকেও ট্রাম তুলে দিতে সরকার যে ‘তৎপর’ হয়ে উঠেছে শুধু তা-ই নয়,আদালতের গড়ে দেওয়া কমিটির সুপারিশও উপেক্ষা করেছে তারা।

ফিরোজ ইসলাম 

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৪
ট্রামের ক্ষেত্রে শহরের অন্যতম চালু রুট ছিল টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ।

ট্রামের ক্ষেত্রে শহরের অন্যতম চালু রুট ছিল টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ। —ফাইল চিত্র।

শহরের রাস্তায় ট্রাম ফিরিয়ে আনার দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি নাগরিক সংগঠন। তার পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চআদালত কী ভাবে বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে ট্রাম চালানোর ব্যবস্থা করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ, পরিবহণ বিশেষজ্ঞ, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম-সহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিল। কিন্তু সেই মামলা চলারমধ্যেই রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা শহরে ট্রাম চালাতে বিশেষআগ্রহী নয়। মামলাকারী সংগঠনটির অভিযোগ, হাতে গোনা চালু রুটগুলি থেকেও ট্রাম তুলে দিতে সরকার যে ‘তৎপর’ হয়ে উঠেছে শুধু তা-ই নয়,আদালতের গড়ে দেওয়া কমিটির সুপারিশও উপেক্ষা করেছে তারা। এমনকি, ট্রাম যাতে না চলতে পারে, তার জন্য কালীঘাট, ভবানীপুর, জাজেস কোর্ট এবং খিদিরপুরে ট্রামলাইন ঢেকে দেওয়া হয়েছে পিচ দিয়ে।

ট্রামের ক্ষেত্রে শহরের অন্যতম চালু রুট ছিল টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ। গত অগস্টে ওই পথের রাসবিহারী মোড় সংলগ্ন অংশে জলের পাইপলাইনমেরামতির কথা বলে ২০ দিন ট্রাম পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তিনটি ট্রামকে বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ। অথচ, পাইপলাইন মেরামতিশেষ হলেও পুজোর সময়ে ওই পথে ট্রামের পরিষেবা শুরু করা হয়নি। সম্প্রতি ওই রুটের রাসবিহারী সংলগ্ন অংশে ট্রামলাইন মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করে পুরসভা।তার পরেও পরিষেবা স্তব্ধ রয়েছে টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ পর্যন্ত পথে। রাজ্য পরিবহণ নিগম কর্তৃপক্ষের অবশ্য যুক্তি, লাইনেরমেরামতি যথাযথ ভাবে না হওয়ায় তা ট্রাম চলাচলের জন্য যথেষ্ট সুরক্ষিত নয়। একই ভাবে, এসপ্লানেড-খিদিরপুর রুটে ট্রাম চলাচল শুরু করা নিয়ে একাধিক বার আলোচনা হলেও গত পাঁচ বছরে সদর্থক পদক্ষেপ করেনি রাজ্য প্রশাসন— অভিযোগ এমনই।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য প্রশানের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ট্রাম চলাচল করছে না এমন রুটে দুর্ঘটনা এড়াতেই পুলিশ এবং পুরসভার সঙ্গে কথা বলে ট্রামলাইন পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

‘কলকাতা ট্রাম ইউজ়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য প্রশাসন আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করে জোর করে ট্রাম তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’

পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বরং তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ট্রাম চালানো নিয়ে তাঁদের তরফে আপত্তি নেই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Tram Calcutta Tramways Company

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy