E-Paper

দিল্লিতে নিষিদ্ধ হলেও অ্যাপ-বাইকের রেজিস্ট্রেশন হবে রাজ্যে

বাণিজ্যিক কাজে (কনজ়িউমার ভেহিক্‌ল) বাইক ব্যবহারের রেজিস্ট্রেশন যেমন নেই, তেমনই বহু চালক বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে বাইক-ট্যাক্সি চালান বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:০৮
A Photograph of  a bike taxi

কোনও অপরাধ ঘটলে বাইক-ট্যাক্সি চালকের পরিচয় জানতে নাজেহাল হয় পুলিশ। ফাইল ছবি।

বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের রেজিস্ট্রেশন নেই। নেই চালকের নাম-পরিচয় জানার ব্যবস্থা, যাত্রী-সুরক্ষার বন্দোবস্তও। বাইক-ট্যাক্সির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা। দিল্লির পরিবহণ দফতর নোটিস দিয়ে বাইক-ট্যাক্সির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের জরিমানার নির্দেশও দিয়েছে।

কিন্তু, এ রাজ্যে? এখানেও বাণিজ্যিক কাজে (কনজ়িউমার ভেহিক্‌ল) বাইক ব্যবহারের রেজিস্ট্রেশন যেমন নেই, তেমনই বহু চালক বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে বাইক-ট্যাক্সি চালান বলে অভিযোগ। কোনও অপরাধ ঘটলে বাইক-ট্যাক্সি চালকের পরিচয় জানতে নাজেহাল হয় পুলিশ। চালকদের পাল্টা অভিযোগ, বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন নেই বলে পুলিশ তাঁদের জরিমানা করলেও খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজে যুক্ত বাইকগুলির ক্ষেত্রে এমন কড়া পদক্ষেপ করা হয় না।

মঙ্গলবার পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে বাইক-ট্যাক্সি চালকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলি। বাণিজ্যিক কাজে বাইক ব্যবহারের জন্য রেজিস্ট্রেশন করানোর সরকারি সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করার আবেদন জানানো হয়। ‘কলকাতা অ্যাপ-ক্যাব অপারেটর্স অ্যান্ড ড্রাইভার্স ইউনিয়ন’-এর সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘অনেকেই বাইক-নির্ভর কাজের সঙ্গে যুক্ত। নিষিদ্ধ না করে অতীতে সরকারের রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার সিদ্ধান্তকেই কার্যকর করতে বলা হয়েছে।’’ পরিবহণমন্ত্রী বলছেন, ‘‘রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই পেশায় যুক্ত। কয়েক দিনের মধ্যেই শিবির করে ১০০০ টাকার বিনিময়ে বাণিজ্যিক নম্বর প্লেটের রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করা যাবে। চালকের এলাকার আশপাশের পাঁচটি জেলার জন্য পারমিট দেওয়া হবে। এর পরেও ব্যক্তিগত নম্বর প্লেট লাগানো বাইক ব্যবহার করলে মোটা জরিমানা করা হবে।’’ পুলিশ সূত্রের খবর, সে ক্ষেত্রে মোটরযান আইনের ৩৯/১৯২ ধারায় জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। চালকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্তও হতে পারে।

অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থায় কর্মরত অরিন্দম রায় বলেন, ‘‘রেজিস্ট্রেশনের টাকা মালিককেই দিতে হবে। সংস্থা দেবে না। বাইক, জ্বালানি, আমাদের মোবাইল ও ডেটাও ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু টাকা মিলছে না।’’ রাজেশ ভক্ত নামে এক বাইক-ট্যাক্সি চালকের কথায়, ‘‘রেজিস্ট্রেশনের টাকা মালিককেই দিতে হয়। পুলিশি ঝক্কি পোহানোর থেকে নিয়ম মানা ভাল।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

App Bike Bike Taxi Registration West Bengal Transport Department

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy