কখনও অভিজাত ঝাঁ-চকচকে, কখনও আবার বিবর্ণ ঘিঞ্জি। কোথাও পাড়ার রাস্তাটা বেশ চওড়া, কোথাও আবার এঁকেবেঁকে কিছুটা সঙ্কীর্ণ। নতুন পুরনো অসংখ্য বাড়ি, আকাশ ছোঁয়া বহুতল, ইতস্তত গজিয়ে ওঠা দোকান আর সম্পর্কের উষ্ণতা নিয়েই আমাদের দিন কাটে এ পাড়ায়। বেহালা অঞ্চলে জ্যোতিষ রায় রোড পাড়াটার চোহারায় তেমন আকর্ষণ না থাকলেও সেটা লুকিয়ে আছে এর দিন যাপনের মধ্যবিত্ত বাঙালি মেজাজটাতে।
টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে শুরু হয়ে পাড়াটা রায় বাহাদূর রোডে গিয়ে মিশেছে। দশ বছর আগে যখন এখানে এসেছিলাম তখন চারপাশটা অনেক ফাঁকা ছিল। দেখতে দেখতে বদলে গেল এলাকাটা।
এ পাড়ায় মূলত মধ্যবিত্ত মানুষের বসবাস। এক কথায় পাড়াটা শান্তিপূর্ণ। এখানকার মানুষ আন্তরিক, এবং অতিথিবৎসল। সুখ-দুঃখে পাশে থাকার অভ্যাসটা তাই আজও আছে। মনে পড়ছে আমার এক আত্মীয় দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকাকালীন পড়শিরা এসে খোঁজখবর নিতেন, প্রয়োজনে সাহায্যও করতেন। পরে তিনি যখন প্রয়াত হন, প্রতিবেশীরা সকলেই এগিয়ে এসে সাহায্য করেছিলেন। এখনও লোকবলের অভাবে কাউকে অসহায় বোধ করতে হয় না। এটা এ পাড়ার একটা বিশেষ গুণ। বাসিন্দাদের মধ্যে ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও তার প্রভাব কখনওই পাড়ায় পড়ে না।