Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Reunion

পঁচিশের পুনর্মিলনে প্রতিষ্ঠানের পাশে শিবপুরের প্রাক্তনীরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বাসুদেব আত্রে জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সরকারি আর্থিক সাহায্য কমে আসছে। তাই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রাক্তনীদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।

৯৭ সালে পাশ করা পড়ুয়ারাও জানালেন, নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন।

৯৭ সালে পাশ করা পড়ুয়ারাও জানালেন, নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:২৩
Share: Save:

‘বন্ধু, কী খবর বল? কত দিন দেখা হয়নি...।’ ডিসেম্বরের এক শীত সকালে এই প্রশ্নেই মুখরিত হবে শিবপুর আইআইইএসটি ক্যাম্পাস। ১৯৯৭ সালে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যাঁরা পাশ করেছিলেন, ২৫ বছর পরে দেশ-বিদেশ থেকে সে দিন তাঁরা ক্যাম্পাসে জড়ো হচ্ছেন। ২৪ ডিসেম্বর আড্ডা, গান, হাসি, খেলায় তাঁরা মাতিয়ে তুলবেন ক্যাম্পাস। সেই সঙ্গে রয়েছে তাঁদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্যের পরিকল্পনাও।

সম্প্রতি ওই কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমাবর্তনে সেখানকার বোর্ড অব গভর্নর্সের চেয়ারম্যান বাসুদেব আত্রে জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সরকারি আর্থিক সাহায্য কমে আসছে। ভবিষ্যতে আরও কমবে। তাই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে প্রাক্তনীদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ’৯৭ সালে পাশ করা পড়ুয়ারাও জানালেন, নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন।

২৪ ডিসেম্বরের সেই মিলন মেলায় যোগ দিতে ইতিমধ্যেই একে একে কলকাতায় ফিরছেন প্রাক্তনীরা। সান ফ্রান্সিসকো থেকে আসা, ’৯৭ সালের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রাক্তনী রাজীব মৈত্র জানালেন, আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওই দিন ক্যাম্পাসে পৌঁছবেন প্রাক্তনীরা। স্মৃতি হাতড়াচ্ছিলেন রাজীব, ‘‘আমাদের সময়ে কলেজের নাম ছিল বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। বিই কলেজ বলেই সকলে চিনত। ধর্মতলা থেকে ৫৫ নম্বর বাসে করে আমরা কলেজে যেতাম।’’ ধর্মতলা থেকে বিই কলেজ— এই ১০ কিলোমিটার যাত্রাপথকে মনে রেখে এর আগে রাজীবেরা বেশ কয়েক বছর দৌড়ের আয়োজনও করেছিলেন। সেই দৌড় থেকে তোলা অর্থ গিয়েছে সমাজকল্যাণে। তবে সেই দৌড়ে অংশ নিতেন অন্যান্য বছরের পাশ করারাও। এ বার ’৯৭ সালে পাশ করা পড়ুয়ারা একযোগে কলেজের জন্য কী করতে পারেন, তারই নকশা তৈরির কাজ চলছে।

বর্তমানে জ়ুরিখবাসী, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ’৯৭ সালের ব্যাচের ছাত্র অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়েরও সুটকেস তৈরি। এখন শুধু কলকাতামুখীবিমানে চড়ার অপেক্ষা। অনিন্দ্যও বললেন, ‘‘২৫ বছর পরের এমন মিলন মেলার মাঝে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আমরা কিছু ফিরিয়ে দিতে আগ্রহী। এখন সেই নিয়ে পরিকল্পনা চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

reunion Alumni school Kolkata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE