E-Paper

সম্পর্কে ভাঙন থেকেই কি আত্মঘাতী তরুণী

মঙ্গলবার বিকেলে নরেন্দ্রপুর থানার কামালগাজি মোড়ে একটি বহুতল আবাসনের আঠারোতলা থেকে ঝাঁপ দেন শ্রীময়ী মিশ্র নামে ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, আঠারোতলার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন না শ্রীময়ী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ ০৭:৪৬
An image representing dead

নরেন্দ্রপুরের বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু এক তরুণীর। প্রতীকী ছবি।

সম্পর্কে টানাপড়েনের কারণে অবসাদে ভুগছিলেন তরুণী। তা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। নরেন্দ্রপুরের বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিশের। পাশাপাশি তদন্তকারীরা জেনেছেন, শারীরিক কারণেও অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকে।

মঙ্গলবার বিকেলে নরেন্দ্রপুর থানার কামালগাজি মোড়ে একটি বহুতল আবাসনের আঠারোতলা থেকে ঝাঁপ দেন শ্রীময়ী মিশ্র (৩২) নামে ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, আঠারোতলার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন না শ্রীময়ী। তিনি তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন গরফায়। শ্রীময়ীর বাবা পেশায় চিকিৎসক। তিনি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে কর্মরত। আবাসনের ওই ফ্ল্যাটটি সম্প্রতি কিনেছিলেন শ্রীময়ীর বাবা। ফ্ল্যাটটি সাজানোর কাজ চলছিল। তা দেখতে মাঝেমধ্যে যেতেন শ্রীময়ী। মঙ্গলবারও বিকেল চারটে নাগাদ গাড়ি নিয়ে আবাসনে আসেন তিনি। চালককে নীচে অপেক্ষা করতে বলে উপরে উঠে যান। তার কিছু ক্ষণ পরেই ঘটে ওই ঘটনা।

তদন্তকারীরা জেনেছেন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল শ্রীময়ীর। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের সেই সম্পর্কে ছেদ পড়ে। যার জেরে মানসিক অবসাদে ছিলেন তরুণী। এ ছাড়া, শারীরিক দিক থেকেও তাঁর সমস্যা চলছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তরুণীর ডান হাতে একটি টিউমার হয়েছিল। পরে সেখানে অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পরেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি হাতটি। হাত নাড়াতে অসুবিধা হত তরুণীর। তা ছাড়া, অস্ত্রোপচারের দাগ থেকে যাওয়ায় বিব্রত ছিলেন তিনি। পুলিশের অনুমান, এ সব নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন শ্রীময়ী। তবে শারীরিক সমস্যার কারণেই তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে কি না, সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা।

মঙ্গলবারের ঘটনার পরে খবর দেওয়া হয়েছিল শ্রীময়ীর বাবাকে। বুধবার তিনি নরেন্দ্রপুর থানায় আসেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। এ ছাড়া, শ্রীময়ীর গাড়ির চালক এবং ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তরুণীর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mysterious death Mystery police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy