করোনার চিকিৎসার জন্য রোগীর প্রয়োজন ছিল কনভ্যালেসেন্ট প্লাজ়মা থেরাপির। করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীর শরীরের প্লাজ়মা সংক্রমিতের দেহে প্রবেশ করিয়ে ওই চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু কোভিডে আক্রান্ত বৌবাজারের এক ব্যবসায়ীকে প্লাজ়মা দিতে রাজি হননি সুস্থ হওয়া তেমন কোনও ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত অতিমারির পরিবেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তালতলা থানার এক সাব-ইনস্পেক্টর।
বৌবাজারের বাসিন্দা, পেশায় গয়না ব্যবসায়ী অনিল রায়ের গত ২৩ অক্টোবর করোনা ধরা পড়ে। তাঁর ছেলে অভিজিৎবাবুর কথায়, ‘‘বাবাকে এন্টালির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করি। সুগার, উচ্চ রক্তচাপের কারণে ভর্তি হওয়ার পরেই বাবা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। যেখানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ২-৫ লিটার অক্সিজেন লাগে, সেখানে বাবার ১৫-১৭ লিটার অক্সিজেন লাগছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, বাবাকে বাঁচাতে হলে কনভ্যালেসেন্ট প্লাজ়মা থেরাপি প্রয়োজন।’’
এর পরে অনিলবাবুর পরিবারের লোকজন প্লাজ়মার খোঁজ করতে শুরু করেন। অভিজিৎবাবু জানান, স্বাস্থ্য ভবন থেকে শুরু করে সর্বত্রই তাঁরা ছুটেছিলেন। কিন্তু কোথাও, কারও থেকেই প্লাজ়মা জোগাড় করা যায়নি। অভিজিৎবাবুর অভিযোগ, এলাকায় যাঁরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের সকলের কাছেই তাঁরা অনিলবাবুকে প্লাজ়মা দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কেউই সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি।