গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের স্থান। —নিজস্ব চিত্র।
গার্ডেনরিচের বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল। এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হল আরও এক যুবকের। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। মৃত যুবকের নাম মইনুল হক (২৩)। দুর্ঘটনার পর থেকে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
গত ১৭ মার্চ, রবিবার রাতে গার্ডেনরিচের একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির উপর। ২৩ মার্চ পর্যন্ত সেই ঘটনায় মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার আরও এক জনের মৃত্যু হল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে মইনুল এসএসকেএমে ভর্তি ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় হাসপাতালে। সেখান থেকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গার্ডেনরিচের ভেঙে পড়া বহুতল বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ মেয়র তথা ওই এলাকার বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম। এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রোমোটার থেকে শুরু করে রাজমিস্ত্রি, অনেকেই। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পাঁচ লক্ষ করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে তার প্রেক্ষিতে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ করে বিজেপি। কারণ গার্ডেনরিচের ঘটনাটি যখন ঘটেছে, তার আগেই দেশে লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা জনপ্রতিনিধি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে পারেন না। এ বিষয়ে কমিশনে চিঠি দিয়েছিল বিজেপি। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী জানান, এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবের কাছে তাঁরা রিপোর্ট চেয়েছেন।
কেন এমন বহুতল বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল, তা জানতে ইতিমধ্যে সাত সদস্যের কমিটি গড়েছেন ফিরহাদ। স্থানীয় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনায়। তবে ফিরহাদ তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিন ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ়ও করা হয়েছে। অন্য দিকে, নিজেদের মতো করে বহুতল ভেঙে পড়ার কারণ জানতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করেছে কলকাতা পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy