গত বুধবার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার পাঁচুর গাজিপাড়ায় একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল শেখ তাজউদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ীর দেহ। তাঁকে খুনের অভিযোগে এ বার রাজস্থানের অজমের থেকে আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম হাসানুল হক গাজি ওরফে মিঠু। সোমবার তাকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতায় এনে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক আট দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজাবাগান থানা এলাকার বাসিন্দা তাজউদ্দিন ১৬ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ১৭ তারিখ মহেশতলা থানা এলাকার আক্রা মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি জায়গা থেকে তাঁর স্কুটারটি উদ্ধার হয়।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ১৭ তারিখ শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তাজউদ্দিনের। কিন্তু সে দিন কয়েক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিজনেরা। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে জাহিরুল নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরায় জানা যায়, তাজউদ্দিনকে ফোন করার জন্য বেনামে একটি সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সূত্রে পুলিশ ইমরাজ এবং নজরুল ইসলাম নামে আরও দু’জনকে ধরে। তাদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এই তিন জনের মাধ্যমে হাসানুলের হাতে ওই সিম কার্ড পৌঁছেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, হাসানুল ফোন করে তার বাড়িতে ডাকে তাজউদ্দিনকে। এর পরে সেখানেই তাঁকে খুন করে। শেষে দেহটি একটি বস্তায় ভরে বাড়ির পিছনে পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে দেয়। ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জ়োনাল) মিতুনকুমার দে বলেন, ‘‘ব্যবসায়িক কারণেই এই ঘটনা বলে আমাদের অনুমান। গ্রেফতারির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)