ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে
চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে আমেরিকার এক প্রতিষ্ঠান থেকে ছ’মাসের একটি কোর্স করেছেন তিনি। সেই তথ্য উদ্ধৃত করে নিজেকে গবেষক বলে দাবি করছেন ধৃত ক্যানসার ‘চিকিৎসক’ অরোদীপ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পুলিশি জেরায় ওই দাবি করলেও তিনি এর স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি। ওই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে শুক্রবার লেক টাউনের এস কে দেব রোডে ক্রিটিক্যাল ক্যানসার ম্যানেজমেন্ট রিসার্চ সেন্টার অ্যান্ড ক্লিনিক এবং ধৃতের বাড়িতে যায় পুলিশ।
সূত্রের খবর, ওই নার্সিংহোমে কয়েক জন আবাসিক চিকিৎসকও আছেন। সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কিন্তু সেই নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ধন্দ আরও বেড়েছে তদন্তকারীদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, অরোদীপের প্যাডের পাতায় তাঁর স্বাক্ষর নেই। স্বাক্ষর রয়েছে শুধু তাঁর বাবা, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের। কেন ফাঁকা প্যাডে অসীমবাবুর স্বাক্ষর রয়েছে, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, অসীমবাবুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি।
এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, নিজেকে ক্যানসার গবেষক হিসেবে দাবি করছেন অরোদীপ। পাশাপাশি তিনি আরও কিছু ডিগ্রির কথাও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু গবেষণা সংক্রান্ত কোনও
প্রমাণই এখনও পর্যন্ত দেখাতে পারেননি তিনি। সূত্রের খবর, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতেন অরোদীপ— এমন তথ্যও পুলিশের কাছে এসেছে। তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। সেই প্রয়োজনে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি কয়েক জন রোগীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
অরোদীপ যে চিকিৎসা করতেন, তা-ই এখন পুলিশকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে। আপাতত সেটাই তদন্তকারীদের কাছে চ্যালেঞ্জ। সেই প্রমাণ সংগ্রহে দফায় দফায় অরোদীপকে জেরা করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে কয়েক জন চিকিৎসককেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy