প্রতীকী ছবি।
এক শিশুকে খুনের অভিযোগে তার মা ও জ্যাঠতুতো দাদাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙড়ের কাশীপুর থানার নয়াবাদ এলাকায় বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে সুরাইয়া খাতুন (৬) নামে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সুরাইয়ার মা সেরিনা বিবি ও ভাসুরের ছেলে আলমগারীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। বুধবার দুপুরে বাড়িতে ওই দু’জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে সুরাইয়া। তার থেকেই শুরু হয় অশান্তি। পুলিশ জেনেছে, সে সময়ে সুরাইয়া তার মা ও জ্যাঠতুতো দাদাকে বলেছিল বাবাকে জানিয়ে দেবে। তা শুনে রেগে যায় আলমগীর। রাগের মাথায় সুরাইয়াকে বাড়ির পিছনে বাগানে নিয়ে যায় সে। পিছন পিছন ছুটে যান সেরিনাও। তবে লাভ হয়নি তাতে। পুলিশের দাবি জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছে, বাগানে সেরিনার সামনেই মাটিতে ফেলে সুরাইয়াকে গলা টিপে খুন করে আলমগীর। তার পরে দেহটি সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। রাতে সুরাইয়ার বাবা সিদ্দিক মোল্লা বাড়ি ফিরলে পড়শিরা তাঁকে জানান, আলমগীর তাঁর মেয়েকে মারধর করেছে। তার পর থেকেই পাড়ার কেউ দেখেননি তাকে। এ কথা শুনে রাতভর মেয়েকে খোঁজেন বাবা। কিন্তু সন্ধান মেলেনি শিশুর। সেরিনার কাছেও জানা যায়নি কোথায় আছে সুরাইয়া। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে সেপটিক ট্যাঙ্কের খোলা ঢাকনার দিকে চোখ যায় সিদ্দিক মোল্লার। তা দেখেই সন্দেহ হয় তাঁর। সেখানে যেতেই তাঁর চোখে পড়ে মেয়ের দেহ। এর পরেই খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করে খুন হওয়া শিশুর মৃতদেহ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এর পরেই সিদ্দিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সেরিনা ও আলগীরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। প্রথমে খুনের কথা এড়িয়ে যান সেরিনা। পরে অবশ্য সেরিনা ও আলমগীর দু’জনেই খুনের বিষয়টি কবুল করেছে বলে দাবি পুলিশের। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাদের।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, প্রথমে সুরাইয়ার মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। তার পরে গলা টিপে মারা হয়েছে তাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এর পরে সুরাইয়ার মাথা সেপটিক ট্যাঙ্কে ঠুকে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সেরিনার মাথাতেও চোট রয়েছে। মুখে রয়েছে রক্তের দাগও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy