Advertisement
০৭ অক্টোবর ২০২৪
Best of 2022

আমরা বেড়া ভাঙি, তাই বছরে ৩০০ কোটি মিনিট সময় দিয়েছেন পাঠকেরা, বললেন অভীক সরকার

আনন্দবাজার অনলাইন ভারতবর্ষে সম্ভবত একমাত্র ওয়েবসাইট, যারা ব্রেকিং নিউজ়ের চেয়ে নিজেদের প্রতিবেদন সৃষ্টি করায় বেশি মনোযোগী। ‘বছরের বেস্ট’-এর মঞ্চে বললেন প্রধান সম্পাদক অভীক সরকার।

Bachhorer Best 2023: Welcome speech of the Chief Editor of Anandabazar Online Aveek Sarkar in the Award Ceremony event

আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’ অনুষ্ঠান শুরু করলেন প্রধান সম্পাদক অভীক সরকার। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:৩২
Share: Save:

বাঁধ ভাঙার ডাক দিয়েছিলেন আগেই। সে চেষ্টা যে নিজেও করে চলেছেন নিরন্তর, জানালেন সে কথাও। অতিথিদের এমন বার্তা দিয়েই আনন্দবাজার অনলাইনের ‘বছরের বেস্ট’ অনুষ্ঠান শুরু করলেন প্রধান সম্পাদক অভীক সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন বয়সের নিরিখে নবীন। অনলাইন মাধ্যমটাই নবীন। প্রধান সম্পাদক বলেন, ‘‘পৃথিবীতে মাত্র পাঁচ-ছ’টি পত্রপত্রিকা পূর্বাশ্রম ছেড়ে সার্থক ভাবে নতুন জগতে প্রবেশ করেছে। আমরা কত দূর পেরেছি বা পারিনি, সেটা আপনারা বিচার করবেন। পূর্বাশ্রম থেকে বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু সম্পূর্ণ সন্ন্যাসী এখনও হয়ে উঠতে পারিনি। বলা যেতে পারে, আমরা এখন ব্রহ্মচারী হিসাবে আছি।’’

নতুন যাত্রাপথের সংক্ষিপ্ত বিবরণও দিলেন অভীকবাবু। বললেন, ‘‘আনন্দবাজার অনলাইন ভারতবর্ষের সম্ভবত একমাত্র ওয়েবসাইট, যারা ব্রেকিং নিউজের চেয়ে নিজেদের প্রতিবেদন সৃষ্টি করায় বেশি মনোযোগী। কিন্তু আমাদের লোকবল এবং অর্থবল— দুটোই কম। ফলে যে গতিতে এগোনো উচিত ছিল, তা সব সময় রাখা যায়নি। তা সত্ত্বেও গত এক বছরে আমাদের ওয়েবসাইট দেখেছেন ২৫০ কোটি পাঠক।’’

Bachhorer Best 2023: Welcome speech of the Chief Editor of Anandabazar Online Aveek Sarkar in the Award Ceremony event

— নিজস্ব চিত্র।

ছোট লেখা এবং বড় লেখা নিয়েও নিজের মত স্পষ্ট করলেন প্রধান সম্পাদক। বললেন, ‘‘আমরা সামগ্রিক রিডিং এনভায়রনমেন্ট বা পঠনপাঠনের পরিবেশ তৈরি করায় বিশ্বাসী। এই কারণে আমরা চাই, আমাদের পাঠকেরা এসে আমাদের লেখা পড়ুন। শুধু হেডলাইন পড়ে চলে যাবেন না।’’ অনেকেই মনে করেন, আজকের দুনিয়ায় বেশি লম্বা লেখা কেউ পড়তে চান না। দেশবিদেশে প্রায় সবাই শব্দসংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। প্রধান সম্পাদক জানান, আনন্দবাজার অনলাইনও যে তা করেনি, এমন নয়। কিন্তু তার সঙ্গেই করা হচ্ছে ‘লং রিড’ বা দীর্ঘ লেখার পাঠক তৈরি করার কাজ। বাংলায় একে ‘দীর্ঘ পাঠ’ বলা হয় বলে জানান তিনি। অভীকবাবু বলেন, ‘‘পৃথিবীর যে দু’চারটি কাগজ এই তপস্যায় ব্রতী, তার মধ্যে যেমন ‘নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স’ আছে, আছে বিলেতের ‘দ্য ইকোনমিস্ট’, তেমনই আছে কলকাতার আনন্দবাজার অনলাইন।’’

নিয়মিত ‘দীর্ঘ পাঠ’ তৈরির কাজও বেড়া ভাঙারই অঙ্গ। তবে সে পথে সাফল্য এসেছে। সে ইঙ্গিতও ধরা থাকে প্রধান সম্পাদকের কথায়। তিনি বললেন, ‘‘আমরা স্বভাবকৌতুক, আমরা বেড়া ভাঙি। কত দূর বেড়া ভাঙতে পেরেছি, তা জানি না। কিন্তু গত এক বছরে আমাদের পাঠকেরা ৩০০ কোটি মিনিট ব্যয় করেছেন আমাদের লেখা পড়ার জন্য। এটাই আমাদের প্রাপ্তি।’’ সে প্রাপ্তিই তিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন বছরের বেস্ট সন্ধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Best of 2022 Bachhorer Best 2023
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE