প্রতীকী ছবি।
মোবাইলের সিম সংক্রান্ত জালিয়াতির ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল এন্টালি থানা। ওই অভিযুক্তেরা চিৎপুর থানা এলাকাতেও একই কায়দায় ভুয়ো নথি জমা নিয়ে প্রায় ৪৫০টি সিম বিক্রি করেছিল। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্তকে চিৎপুর থানা গত ২২ নভেম্বর গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার দু’জনকেই শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন দেন। যদিও শিয়ালদহ আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা জামিনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাব। ধৃতেরা ভুয়ো নথির সাহায্যে কয়েকশো সিম বিক্রি করেছে। এটা একটা বড়সড় চক্র।’’
পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যে অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে একটি বেসরকারি সংস্থার কয়েকশো সিম সংগ্রহ করে জালিয়াতির ব্যবসা শুরু করেছিল অভিযুক্তেরা। ওই সব সিম ব্যবহার করে চলত অনলাইনে প্রতারণার কারবার। আধার কার্ডের একই ছবির সঙ্গে বিভিন্ন নাম-ঠিকানা যোগ করে তৈরি হয়েছিল ওই সমস্ত ভুয়ো নথি।
ওই মোবাইল সংস্থার তরফে চিৎপুর ও এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানানো হয়েছিল, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে তাদের সংস্থার কয়েকশো সিম কেউ বা কারা ব্যবহার করেছে। এমনকি, ওই সিমগুলি ‘ব্লক’ করার পরেও কেউ অভিযোগ জানাতে আসেনি। তদন্তে নেমে মাসখানেক আগে এন্টালি থানার পুলিশ কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটের বাসিন্দা নীরজকুমার সিংহ ও পঙ্কজকুমার দাসকে গ্রেফতার করে। একই ধরনের একটি প্রতারণার ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর চিৎপুর থানা পঙ্কজকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। পঙ্কজ এত দিন চিৎপুর থানার পুলিশ লক-আপে ছিল। নীরজ ছিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নীরজকেও চিৎপুর থানার হেফাজতে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা আগে ওই বেসরকারি মোবাইল সংস্থারই কর্মী ছিল। নীরজের আমহার্স্ট স্ট্রিটে একটি মোবাইলের দোকান রয়েছে। তবে যে দোকান দেখিয়ে নীরজ সিমগুলি বিক্রি করেছিল বলে ওই মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে জানিয়েছে, আদতে সেই দোকানের কোনও অস্তিত্ব নেই। পঙ্কজ যে তিনটি মোবাইলের মাধ্যমে সিম সক্রিয় করত, তার মধ্যে দু’টি মোবাইল সম্প্রতি তার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy