Advertisement
E-Paper

ভুয়ো আধার, ভারতীয় পাসপোর্ট কোথা থেকে তৈরি করান শান্তা? বাংলাদেশি মডেলের বাড়ি থেকে পাওয়া সূত্র ধরেই চলছে তদন্ত

শান্তার বিক্রমগড়ের বাড়ি থেকে আধার, পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে দেওয়ার কিছু বিজ্ঞাপন মিলেছে। ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোথা থেকে এগুলি তৈরি করানো হয়। রয়েছে ফোন নম্বরও।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৫৯
শান্তা পাল।

শান্তা পাল। ছবি: সংগৃহীত।

বাংলাদেশের মডেল শান্তা পালের বিক্রমগড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক আধার, ভারতীয় ভোটার এপিক কার্ড, রেশন কার্ড পেয়েছে পুলিশ। মিলেছে একাধিক পাসপোর্টও। এর মধ্যে যেমন রয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট, তেমনই রয়েছে ভারতীয় পাসপোর্টও। এ বার প্রশ্ন উঠছে, কোথা থেকে ওই ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র করিয়েছিলেন শান্তা? পুলিশ তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু বিজ্ঞাপন পেয়েছে, যেখানে ভোটার, আধার কার্ড করানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু ফোন নম্বর, ঠিকানাও শান্তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই সব ঠিকানা, ফোন নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে চাইছে, কোথা থেকে ভুয়ো আধার, ভোটার কার্ড, ভারতীয় পাসপোর্ট করিয়েছেন শান্তা।

শান্তা পাল।

শান্তা পাল। ছবি: সংগৃহীত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তার বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। গত কয়েক বছর ধরে যাদবপুরের কাছে বিক্রমগড়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ২০২৩ সাল থেকে ওই বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন তিনি। বাংলাদেশে শান্তা দু’টি প্রতিষ্ঠানে মডেল হিসাবে কাজ করেন। বাংলাদেশি সিনেমাতেও কাজ করেছেন বলে দাবি। ২০১৯ সালে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দেশে এসে তেলুগু ছবিতে কাজ করেন শান্তা। কী ভাবে সেই সুযোগ মিলেছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, কলকাতায় গাড়ি ভাড়া দিতেন, পর্যটকদের ঘোরানোর ব্যবসাও করতেন শান্তা।

সম্প্রতি তিনি পর্যটনের ব্যবসা শুরু করবেন বলে কয়েক জনের সঙ্গে যোগাযোগও করেন। গোয়েন্দারা জানান, পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার এক বাসিন্দার সঙ্গে সেই সূত্রে পরিচয় হয় শান্তার। ওই ব্যক্তি পরে অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশের নাগরিক শান্তা সে দেশের পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে এসে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে শহরে থাকছেন। এর পরেই শান্তাকে গত সোমবার গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, শান্তা কোনও ভিসা দেখাতে পারেননি। তিনি ভিসা নিয়ে এসেছিলেন ২০২৩ সালে। সেই ভিসার মেয়াদ ইতিমধ্যেই ফুরিয়ে গিয়েছে। শান্তার পাসপোর্টের মেয়াদও ফুরিয়েছে চলতি বছরে। উদ্ধার হওয়া দু’টি আধার কার্ডের একটির ঠিকানা কলকাতার, অন্যটি বর্ধমানের। এক তদন্তকারী জানান, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ডের ঠিকানা ভিন্ন ভিন্ন। যা নিয়ে শান্তা সদুত্তর দিতে পারেননি।

Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy