ফাইল চিত্র।
প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ খাওয়ার ঠিকঠাক নিয়ম জানেন না অনেকেই। কেউ আবার কোর্স শেষ হওয়ার আগেই বন্ধ করে দেন ওষুধ। কিছু ওষুধে আবার মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও, তা অজানা অনেকেরই। এই সমস্ত বিষয়েই এ বার থেকে পরামর্শ মিলবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে।
শনিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগের পাশেই চালু হল সেই কাউন্সেলিং কেন্দ্র। বহির্বিভাগে আসা রোগীদের সেখানেই প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধ সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন ফার্মাসিস্ট ও চিকিৎসকেরা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মিলবে এই পরিষেবা।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ধরা যাক, কোনও রোগীকে সাত দিন দু’টি করে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে বলা হল। এ বার হয়তো পাঁচ দিন পরেই ওই রোগীর সমস্যা কমে গেল। তখন তিনি বাকি দু’দিন আর সেই অ্যান্টিবায়োটিক খেলেন না। এতে তাঁর সমস্যা সাময়িক ভাবে কমলেও পরবর্তী সময়ে রোগটির ফিরে আসার আশঙ্কা থেকেই যায়। আবার কোনও ওষুধ হয়তো খাওয়ার আগে বা পরে নেওয়ার জন্য লেখা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ রোগীই জানেন না, খাবার খাওয়ার কত ক্ষণ আগে বা পরে সেটি নিতে হবে। চিকিৎসকেরা আরও জানাচ্ছেন, এমন কিছু ওষুধ রয়েছে, যেগুলি খেলে প্রস্রাবের রং বদলে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়, কিংবা পেটের সমস্যা শুরু হয়। তখন রোগী চিন্তিত হয়ে পড়েন।
এমনও দেখা যায়, একটি ওষুধে হয়তো বাড়ির এক জনের নির্দিষ্ট কোনও সমস্যা দূর হয়েছে। এর পরে হয়তো বাড়ির অন্য কোন সদস্যের অনেকটা একই ধরনের সমস্যা দেখা দিল। তখন তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই সেই ওষুধ খেয়ে নিলেন। যা একেবারেই অনুচিত।
হাসপাতালের সুপার অসীম মান্না বললেন, ‘‘প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের গুণাবলী যেমন জানা দরকার, তেমনই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও খাওয়ার নিয়মও ঠিক ভাবে মেনে চলা উচিত। তাতে রোগীরই উপকার। তাই এ সমস্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেই রাজ্যে প্রথম এমন কোনও কেন্দ্র চালু করা হল।’’ এ দিন ওই পরামর্শ কেন্দ্রের সূচনায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ অণিমা হালদার-সহ অন্যেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy