বেসরকারি সংস্থার পণ্য পাইকারি ভাবে বিক্রির চুক্তি (ডিস্ট্রিবিউটরশিপ) আদায়ের জন্য প্রতারণার অভিযোগে ধরা পড়লেন দুই অভিযুক্ত। সংস্থা থেকে চুক্তিপত্র আদায়ের জন্য এক কোটি টাকার ‘ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি’ (আর্থিক চুক্তির ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার হয়। এ ক্ষেত্রে গ্রহীতা টাকা শোধ করতে ব্যর্থ হলে, ব্যাঙ্ক থেকে ওই টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন পাওনাদার) জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পরে যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, এক কোটি টাকার ওই ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ভুয়ো। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক থেকে এমন কোনও নথি দেওয়াই হয়নি। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যে সঞ্জীব সাউ এবং সৌরভ বিশ্বাস নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর পুলিশ।
কৃষিপণ্য সংক্রান্ত এক সংস্থার সল্টলেক সেক্টর ফাইভের শাখা অফিসে যোগাযোগ করেন প্রতারকেরা। নিজেদের পশুখাদ্য সরবরাহকারী হিসেবে পরিচয় দেন তাঁরা। সংস্থার আধিকারিকদের তাঁরা জানান, কলকাতা এলাকায় পশুখাদ্য সরবরাহ করেন তাঁরা। অভিযুক্তদের কথাবার্তায় প্রাথমিক ভাবে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি সংস্থার আধিকারিকদের। ফলে সংস্থার আধিকারিকেরাও অভিযুক্তদের সঙ্গে চুক্তি করতে রাজি হয়ে যান। চুক্তির অংশ হিসাবে সংস্থার আধিকারিকদের কাছে এক কোটি টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিও জমা করেন অভিযুক্তেরা।
আরও পড়ুন:
কিন্তু পরে ওই ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির নথি যাচাই করার সময়েই ভুল বুঝতে পারেন সংস্থার আধিকারিকেরা। সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন কোনও ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি তারা দেয়নি। প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তা বুঝতে পেরেই গত ৪ অগস্ট সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সংস্থার এক কর্তা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বিধাননগর পুলিশের ওই অভিযানেই ধরা পড়ে যান সঞ্জীব এবং সৌরভ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ।