এই যুবকদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
ভরদুপুরে ভাঙচুর হল লেকটাউনের একটি তৃণমূল কার্যালয়। অভিযোগ, প্রায় ৫০-৬০টি বাইকে করে শ’খানেক যুবক আজ বেলা দেড়টা নাগাদ হাজির হয় তৃণমূলের ওই কার্যালয়ে। তারা এসে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ওই কার্যালয়টি দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মানস রঞ্জন রায়ের অফিস হিসেবে পরিচিত।
রতন বসাক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘দেড়টা নাগাদ মানসবাবুর অফিসে আসছিলাম একটি শংসাপত্রের জন্য। হঠাৎ দেখি অনেক বাইক এসে জড় হল। বাইক থেকে শ’খানেক যুবক নেমে মানসবাবুর অফিসের সামনে থাকা সমস্ত চেয়ার ভাঙে। আমি ভয়ে একটু দূরে চলে যাই।”
অন্য এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘ওই যুবকরা এসেই তাণ্ডব শুরু করে। তারা এসে আশপাশের সমস্ত দোকানের শাটার নামিয়ে দিতে বলে। ভয়ে সবাই দোকান বন্ধ করে পালায়। প্রায় দশ মিনিট ধরে ভাঙচুর চালিয়ে চলে যায় ওই বাইক বাহিনী।”
আরও পড়ুন: ইকো পার্কের কাছে মেট্রোর পিলারে গাড়ির ধাক্কায় মৃত ৩ যুবক, গুরুতর আহত ২
ভাঙচুরের পর। নিজস্ব চিত্র
কাউন্সিলর মানসবাবু ঘটনার সময়ে ওই কার্যালয়েই ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রচুর বাইক এল। ছেলেগুলো বাইক থেকে নেমেই আমাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ শুরু করে। আমি অফিসের ভিতরে চলে যাই। তারপর ওরা বাইরে রাখা চেয়ার ভাঙে। দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেয়।” বাসিন্দারা যদিও গোটা ঘটনার পিছনে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই সন্দেহ করছেন। মানসবাবু নিজেও গোটা ঘটনায় বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলকে অভিযুক্ত করেননি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি শাসনের পথেই মহারাষ্ট্র? কেন্দ্রের সঙ্গে কথা রাজ্যপালের, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মোদী
মানসবাবু লেকটাউন এলাকায় তৃণমূলেরই এক প্রভাবশালী নেতার বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ওই দ্বন্দ্বের জেরেও এই হামলা হতে পারে বলে মনে করছেন শাসক দলের ওই এলাকার কর্মীদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy