‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান ২০১৫’ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, নজরুল মঞ্চে। — দেবাশিস রায়
মঞ্চে একাকার গোটা পশ্চিমবঙ্গ, আগরতলা, ঢাকা, মুম্বই, দিল্লি, দুবাই বা হিউস্টন। ‘বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান’-এর আসরে এ বার গোটা দুনিয়ার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘বিশ্ব বাংলা মানে বাংলাকে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করা। এটাই আমাদের ভিশন।’’
দুর্গাপুজো বাঙালির ‘জাতীয় উৎসব’ বলে ঘোষণা করে এর মাধ্যমেই তাঁর বিশ্ব বাংলা-ব্র্যান্ডের ভাবনা এ দিন ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নজরুল মঞ্চে মমতা বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোয় আমরা সুশোভিত, সুরভিত, বিকশিত, প্রস্ফূটিত হই। পুজোকে কেন্দ্র করে কত মার্কেটিং, ব্যবসা, কত শিল্প, কত স্রষ্টা, কত ভাষা, কত দিশা, কত ভাবনার লগ্ন জন্ম নেয়।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেশ-বিদেশের অতিথি, দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের দুর্গা-বাড়ি বা পুজো-কমিটির একটি নথিভাণ্ডার বা ডেটা-ব্যাঙ্ক এখনই তৈরি করা দরকার বলে মনে করছেন মমতা। রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে মঞ্চে ডেকে এ কথাই জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী চান, শুধু এই পুজোর অনুষ্ঠানে নয়, রাজ্যের সব উৎসব-অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের লোকজনকে ডাকা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা এসেছেন, তাঁদের ডেটা-ব্যাঙ্ক তৈরি করা হোক। বাংলার সঙ্গে সবার যোগাযোগ থাকুক। সবাই ভাল থাকলে আমরাও ভাল থাকব।’’
তবে পুরস্কার-পর্বে সব থেকে হাততালি পড়েছে যখন কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সুরুচি সঙ্ঘের পুজোয় ব্যবহৃত মমতার লেখা গানই পুজোর ‘সেরা’ থিম সং। গানের জন্য মমতাই পুরস্কার দিলেন সেই পুজো কমিটিকে। তবে শুধু পুরস্কার দিয়েই ছাড়ান পেলেন না। তাঁর সঙ্গে নিজস্বী তুলতেও হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। আর পুজো উদ্যোক্তাদের হাত থেকে নানা কিসিমের স্মারকের ‘রিটার্ন গিফ্ট’ নিতেও জেরবার হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy