ফুলবাগান থানার সামনে বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
মানিকতলায় ভোট লুটের অভিযোগ তুলে ফুলবাগান থানার সামনে অবস্থানে বসেছিল বিজেপি। বেশ কিছু ক্ষণ বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, গত লোকসভা ভোটে ৩১ নম্বর পুরসভা এলাকায় ছ’হাজার ভোটের এগিয়ে ছিল বিজেপি। উপনির্বাচনে সেখানে ভোট লুট করছে তৃণমূল। পুলিশও তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এই অভিযোগ তুলে ফুলবাগান থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
বিজেপির উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, ‘‘আমি থানায় আসার পর বেশ কিছু ক্ষণ আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। কেউ কথা বলতে চাননি। তখন আমি বাইরে এসে বসে পড়ি। তার পর পুলিশ কথা বলতে আসে। নির্লজ্জ ভাবে ভোট লুটে পুলিশ তৃণমূলকে সাহায্য করছে। গলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। পুলিশ নিষ্ক্রিয়। লজ্জা হওয়া উচিত, কারণ এ ভাবে গণতন্ত্রকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।’’ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর অবশ্য থানার সামনে থেকে উঠে যায় বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ শাসকদল। তারা পাল্টা কটাক্ষ করেছে এই বিক্ষোভকে। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কল্যাণ চৌবে ২০২১-এ হারার পর তিন বছর এলাকায় নেই। উনি মামলা করে উপনির্বাচনে বাধা দিয়েছেন। সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পরেও ভোট আটকে দিয়েছিলেন, তাতে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন। সুপ্রিম কোর্টের বকুনিতে মামলা তোলা হয়। এত দিন পর আবার প্রার্থী হয়ে হাজির হয়েছেন সেখানেই। এত কিছু উনি করেছেন, মানুষের ক্ষোভ থাকবে না? এখন এ সব নাটক করলে হবে?’’
উল্লেখ্য, বুধবার রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলছে। মানিকতলা ছাড়াও ভোট হচ্ছে নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণ, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এবং উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।
২০২১ সালে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে জিতেছিল তৃণমূল। বিধায়ক হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। তাঁর মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্র বিধায়কহীন হয়ে পড়ে। নানা আইনি জটিলতায় তার পর থেকে মানিকতলায় উপনির্বাচন আটকে ছিল। আদালতের হস্তক্ষেপে সেই বাধা কেটেছে। ওই কেন্দ্র থেকে সাধনের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপির হয়ে লড়ছেন কল্যাণ চৌবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy