চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার, হাজরা মোড়ে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
দ্রুত নিয়োগের দাবিতে কালীঘাটে বিক্ষোভ দেখালেন ‘মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থী মঞ্চ’-এর সদস্যেরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ ওই চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল করে কালীঘাটে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলে পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন।
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ২০১৩ সালের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ছিল ৩১৮৩টি। এই শূন্যপদ ‘আপ টু ডেট’ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সাল পর্যন্ত। কিন্তু তা হয়নি। বরং অভিযোগ, ২০১৮ সালে মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই ১৫০০ প্রার্থী নিয়োগ করা হয়। তাই চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, মেধা তালিকা প্রকাশ না করে এবং গেজেট না মেনে এই নিয়োগ হয়েছে। পরীক্ষায় বসেননি এমন চাকরিপ্রার্থীরও নিয়োগ হয়েছে। যাঁদের মধ্যে দু’জন ধরাও পড়েছেন।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘দীর্ঘ চার বছর ধরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছি। নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সরকার। কিন্তু তবু নিয়োগ অধরা। দ্রুত নিয়োগ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’’ এ দিন মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম আলি আনসারি আশ্বাস দিয়েছেন, ‘‘শূন্যপদ দেখে আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হতে চলেছে।’’
এ দিন বিক্ষোভের পরে চাকরিপ্রার্থীরা কালীঘাট থানার পুলিশের হাতেই তাঁদের স্মারকলিপি জমা দেন। প্রার্থীরা জানিয়েছেন, কালীঘাট থানার পুলিশ তাঁদের প্রতিশ্রতি দিয়েছেন যে এই স্মারকলিপি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। কালীঘাটে বিক্ষোভ দেখানোর পরে সেখানেই মুসলিম চাকরিপ্রার্থীরা নমাজ পড়েন।
এ দিকে, চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে সরস্বতী পুজো, কালীপুজোর মতো ইদও পালন হচ্ছে রাস্তাতেই। গান্ধী মূর্তির নীচে নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা জানালেন, মুসলিম চাকরিপ্রার্থী যাঁরা রোজা রেখেছেন, রোজা ভাঙার পরে তাঁদের সঙ্গে সবাই মিলে ইফতার করা হচ্ছে। এক চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন বলেন, ‘‘৭৫৫ দিন ধরে আমরা রাস্তায় বসে আছি নিয়োগের আশায়। রাস্তাতেই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পুজো পালন করছি। এর আগে সরস্বতী পুজো, লক্ষ্মী পুজোও করেছি রাস্তায়। ভাইফোঁটা হয়েছে। এ বারেও একসঙ্গে ইফতার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy