এই সেই ম্যানহোল। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই দুর্গন্ধটা পাওয়া যাচ্ছিল এলাকায়। কোথা থেকে গন্ধ আসছে খোঁজ করতে করতেই নজরে আসে, ম্যানহোলের ঢাকনাটা ঠিকমতো বন্ধ নেই। কাছে যেতেই বোঝা যায়, দুর্গন্ধের উত্স ওটাই। ঢাকনা পুরো সরাতেই আঁতকে ওঠেন পাড়ার লোকজন। ভিতরে ভাসছে একটা বাচ্চা মেয়ের দেহ।
ম্যানহোলের মধ্যে এই দেহ উদ্ধার ঘিরে, শনিবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর কলকাতায় শ্যামবাজার এলাকার শ্যামলাল স্ট্রিটে। খবর যায় উল্টোডাঙা থানায়। পুলিশ এসে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে। কিছু ক্ষণের মধ্যে জানা যায় তার পরিচয়ও। বছর চারেকের মেয়েটি শ্যামলাল স্ট্রিটে ফুটপাতেই থাকত বাবা-মায়ের সঙ্গে।
পুলিশ জানিয়েছে, দিন চার-পাঁচ ধরে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এ দিন দেহ উদ্ধারের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
দেখুন ভিডিয়ো
কী ভাবে শিশুটি ম্যানহোলের ভিতর পড়ে গেল, তা নিয়ে এখনই পুলিশ চূড়ান্ত কিছু বলতে রাজি নয়। যদিও স্থানীয়দের কারও কারও মতে, অপহরণ করা হয়েছিল ওই শিশুকে, এবং পরে খুন করে তাকে ম্যানহোলের ভিতর ফেলে দেওয়া হয়। শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলেও সন্দেহ করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘হাত নড়ছে রে’, মৃতদেহের দিকে তাকিয়েই চেঁচিয়ে উঠলেন ওঁরা! তার পর...
পুলিশ আপাতত ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের অপেক্ষায়। সন্দেহের জায়গা অনেকগুলোই। বন্ধ ম্যানহোলটির ঢাকা কী ভাবে খানিকটা সরে গেল সে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি রাতের অন্ধকারে কেউ, বা কেউ কেউ, ঢাকনা খুলে মেয়েটির দেহ ম্যানহোলে ফেলে দিয়ে গিয়েছে? তাড়াহুড়োতে ঢাকনা পুরো বন্ধ না করেই পালিয়ে গিয়েছে? না কি ভিতরে তৈরি হওয়া গ্যাসের চাপে সরে গিয়েছিল ঢাকনা? উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: নির্মল-বিজ্ঞাপনে বিড়ম্বনায় মুর্শিদাবাদ
তবে এলাকার লোকজনের মতে, বন্ধ ম্যানহোলটিতে শিশুটির নিজে থেকে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। যদি তাই হয়, তবে তাকে ওখানে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলেই ধরে নেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকা শিশুটিকে কবে বা কখন এবং কী ভাবে ফেলে দেওয়া হল, তার উত্তর এখনও নেই। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। আর অপেক্ষায় আছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের।
(শহরের প্রতি মুহূর্তের হেডলাইন, কলকাতার যে কোনও ব্রেকিং নিউজ পেতে ক্লিক করুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy