দমদম থানা এলাকার প্রমোদনগর ভাগাড় থেকে এক যুবকেরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে। মৃতের নাম গণেশসমাদ্দার (২৩)। পরিবারের অভিযোগ, কেউ বা কারা ওই যুবককে খুন করে দেহ ফেলে গিয়েছে ভাগাড়ে। যদিও রাত পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে যুবকের দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রমোদনগর ভাগাড়ে আগেআবর্জনা পোড়ানোর কাজ করতেন গণেশ। পরে অন্য একটি জায়গায়কাজ পান। পুজোর ছুটিতে সেখান থেকে বাড়ি এসেছিলেন। মৃতের জামাইবাবু বাবন মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার তাঁর শ্যালক বাড়ি থেকে বেরোন। বুধবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল গণেশের। কিন্তু সে দিন থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন করলেও সাড়া মেলেনি। গণেশের এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ভাগাড়ে কাজে গিয়েছেন।
মৃতের পরিবারের সদস্যেরা জানান, তাঁরা বৃহস্পতিবার গোটা বিষয়টি থানায় জানাবেন বলেঠিক করেছিলেন। কিন্তু, ভাগাড়ে এক জনের দেহ পড়ে থাকার খবরপেয়ে তাঁরা সেখানে যান। গিয়ে দেখেন, উপুড় হওয়া অবস্থায় পড়ে আছে গণেশের দেহ। তাঁর হাতেএবং মাথার সামনে ও পিছনেক্ষতচিহ্ন রয়েছে। সেই সূত্রেই পরিজনেদের অভিযোগ, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে।
যদিও প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের দেহে বাইরে থেকে সন্দেহজনক কোনও ক্ষতচিহ্ন মেলেনি। তবে, তাঁর প্যান্টের পকেট থেকে মিলেছে মোবাইল ফোনটি। এটি দুর্ঘটনা, না কি খুন, সেই বিষয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)