‘পুস্তক পার্বণ ২০১৪’-র সূচনায় নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। ছবি: সুমন বল্লভ।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সহযোগিতায় এই প্রথম একটি আঞ্চলিক স্তরের বইমেলা শুরু হল শহরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঙুর বয়েজ স্কুলের পাশের মাঠে সেই ‘পুস্তক পার্বণ ২০১৪’-র সূচনা হয়। বাঙুর বই ও উত্সব কমিটির দাবি, গিল্ডের সহযোগিতায় এই বইমেলার আয়োজন। তবে আঞ্চলিক স্তরের যে সব বইমেলা হয়, তার থেকে বাঙুরের ওই মেলার পরিকল্পনা স্বতন্ত্র। গিল্ড-কর্তারাও আয়োজকদের দাবির সমর্থন করেছেন।
কার্যত কলকাতা বইমেলাকে মাথায় রেখেই এই পার্বণের পরিকল্পনা বলে জানান আয়োজকেরা। নামী প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি মেলায় রয়েছে লিট্ল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়ন। মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “গিল্ডের সহযোগিতায় একাধিক নামী প্রকাশনী সংস্থাকে মেলায় আনতে সক্ষম হয়েছি আমরা। কলকাতা বইমেলারই স্বাদ মিলবে এখানে।”
শিল্পীদের জন্য রয়েছে আলাদা প্যাভেলিয়ন। তৈরি হয়েছে বাউল গ্রাম, ফুডকোর্টও। এ ছাড়াও প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ছোটদের জন্য নারায়ণ দেবনাথের কমিক্সের বিভিন্ন চরিত্র যেমন, বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টেদের নিয়ে রকমারি প্রদর্শনীও থাকছে মেলাজুড়ে। এ ছাড়াও কেরিয়ার সংক্রান্ত আলোচনা, ক্যুইজ ও বিতর্কের আয়োজন হয়েছে। এ দিন সূচনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পর্যটনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। ব্রাত্যবাবু বলেন, “উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি সংস্কৃতির ক্ষেত্রকে মানুষের মাঝে আরও ছড়িয়ে দিতে ইতিমধ্যেই দমদম জুড়ে বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। আরও বেশি মানুষকে টানতে এমন প্রচেষ্টা বাড়ানো দরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy