আধার কার্ড তৈরি করতে ঠাকুরপুকুরের একটি অফিসে গিয়েছিলেন তিন যুবক। ভিতরে থাকা মাঝবয়সী ব্যক্তি জানালেন, কার্ড তৈরি করতে মাথাপিছু ৩০০ টাকা লাগবে। আধার কার্ড তো সরকার বিনামূল্যে করে দেয়। টাকা লাগবে কেন? প্রশ্ন করতেই ওই যুবকদের দিকে তেড়ে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি।
শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনার পরেই ঘটে গিয়েছিল ক্ল্যাইম্যাক্স। আশপাশের লোকজন দেখলেন, ওই ব্যক্তিকে ধরে রাস্তায় দাঁড়ানো এসইউভিতে তুলছেন যুবকেরা। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ছাড়ল গাড়ি।
কোথায় গেল গাড়িটি?
পুলিশ জানায়, ওই তিন যুবক আসলে লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার অফিসার। টাকা নিয়ে আধার কার্ড করা হচ্ছে, এই খবর পেয়ে ঠাকুরপুকুরের জনকল্যাণে ‘মেসার্স সার্ভিস পরিবার’ নামে ওই অফিসারেরা সাদা পোশাকে কার্ড তৈরি করতে গিয়েছিলেন।
টাকা কেন দিতে হবে এবং তার বিনিময়ে রসিদ মিলবে কি না, এ সব জিজ্ঞাসা করতেই কার্ড তৈরির দায়িত্বে
থাকা সইফুল ইসলাম নামে ওই ব্যক্তি গোয়েন্দাদের উপরে চড়াও হন। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লালবাজারের দাবি, টাকা নেওয়ার কোনও সরকারি নির্দেশ দেখাতে পারেননি সইফুল।
আধার কার্ড বাধ্যতামূলক হওয়ার পর থেকেই নানা জায়গায় এমন এজেন্সি গজিয়ে উঠছে। বহু সময়েই টাকার বিনিময়ে আধার কার্ড তৈরি বা ল্যামিনেশনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পুলিশ বলছে, বেসরকারি এজেন্সির কাছ থেকে আধার কার্ড তৈরি করা যেতে পারে। কিন্তু তাদের সরকারি স্বীকৃতি আছে কি না, দেখা উচিত। আধার কার্ড তৈরির কোনও টাকা লাগে না। অন্যান্য কিছু পরিষেবার জন্য সর্বাধিক ২৫ টাকা লাগবে। তবু বহু জায়গায় ইচ্ছেমতো টাকা নেওয়া হচ্ছে।