চলছে সারাই। শনিবার। ছবি: শৌভিক দে
রাতারাতি পড়ে গেল নোটিস। বাড়ল মেরামতির গতিও। চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের যে ‘এক্সপ্যানশন গ্যাপ’গুলি বরাবর ফাটল ধরেছে, সেগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সাত তাড়াতাড়ি। ফাটলের আশপাশের পুরনো কংক্রিট ছাড়িয়ে, নতুন সিমেন্টের প্যাচ পড়েছে। বাঁধা হয়েছে কাঠের তক্তা।
এ দিন উড়ালপুলে গিয়ে দেখা গেল, ভোররাতে সারা হয়েছে অনেকটা কাজ। ভাঙা ফাটলের নীচে তখনও পড়ে রয়েছে রাবিশ। সিমেন্ট দেওয়ার পর বেঁধে রাখা তক্তার গা থেকে টপটপ করে জল পড়ছে। ব্রিজের মাঝ বরাবর ঝুলছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নোটিস, ‘‘কাজ চলছে।’’ কিন্তু গাড়ি চলাচলে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ হয়নি এ দিনও।
কয়েক মাস ধরেই দেখা যাচ্ছে ব্যস্ত এই উড়ালপুলের ফাটলগুলি। একটা নয়, সাত-আটটা। ধাতব এক্সপ্যানশন গ্যাপের গা বরাবর প্রকট হয়ে আছে ফাঁক। তা জুড়তে সারাইয়ের কাজও চলছে প্রায় মাসখানেক। কেএমডিএ-র বাস্তুকার যুক্তি দিয়েছেন, রাতে কয়েক ঘণ্টা ছাড়া কাজের অনুমতি মেলে না। তাই দেরি হচ্ছে সারাই শেষ হতে। তিনি জানান, সারাই চলাকালীন উড়ালপুল ভেঙে পড়ার আশঙ্কা নেই। এই কথায় অবশ্য সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কাটছে না মোটেই। যত দিন না পুরোপুরি সারাই হচ্ছে, তত দিন ওই পথ এড়িয়ে চলবেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy