ব্রিগেডে চলছে সাফাইয়ের কাজ। ছবি: সুমন বল্লভ
ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা মিটে গিয়েছে বুধবার বিকেলে। তার এক দিন পরেও সভাস্থল ও আশপাশ পুরোপুরি জঞ্জালমুক্ত হল না। বৃহস্পতিবার বিকেলেও মাঠের বিভিন্ন জায়গায় শালপাতা,
থার্মোকল ও প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এ দিন সকালে হাতে গোনা কয়েক জনের পাশাপাশি ঝাঁটা হাতে ব্রিগেড সাফ করতে নামেন খোদ কলকাতা পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত। তবে মাঠ যে এখনও পুরো পরিষ্কার হয়নি, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। মীনাদেবীর কথায়, ‘‘এ দিন জোরে হাওয়া দেওয়ায় প্লাস্টিক উড়ে যাচ্ছিল। যার জন্য বহু প্লাস্টিক সাফ করা যায়নি। আমরা শুক্রবার আবার অভিযানে নামব।’’
এ দিন বিকেলে ব্রিগেড ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে কাগজের কাপ, প্লাস্টিক ও থার্মোকল। আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে আশপাশের বিভিন্ন মাঠেও। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্রিগেডের সভায় এসেছিলেন। সভা শেষ হওয়ার পরপরই মাঠ পরিষ্কারের কাজে হাত লাগিয়েছেন আমাদের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও সাফাই অভিযান চলেছে।’’ পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, ‘‘দলের পক্ষে পুরো মাঠ পরিষ্কার করা অসম্ভব। সাফাই অভিযানে কলকাতা পুরসভারও এগিয়ে আসার প্রয়োজন ছিল।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সায়ন্তনের দাবির প্রেক্ষিতে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘তৃণমূল ও সিপিএম ব্রিগেডে সভা করার আগে মাঠ পরিষ্কারের জন্য কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু বিজেপি আগে থেকে কোনও আবেদন করেনি।’’ যার জবাবে সায়ন্তন বলেন, ‘‘ব্রিগেড সাফ করতে পুরসভার যেখানে যেখানে আবেদন করার দরকার, আমরা তা করেছিলাম।’’
সভা মিটে যাওয়ার এক দিন পরেও ব্রিগেড পরিষ্কার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘‘ব্রিগেডে সভার আয়োজন করা মানেই তা জনগণের স্বাস্থ্যহানির কারণ। এখনও যে ভাবে মাঠের চারপাশে আবর্জনা পড়ে আছে, তা পরিবেশের পক্ষে খুবই উদ্বেগের।’’ সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘মাটি খুঁড়ে ব্রিগেডের যত্রতত্র যে ভাবে ভারী হ্যাঙার বসানো হয়েছে তাতে সবুজও নষ্ট হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy