বিটি রোডের ধারে সেজে উঠেছে বাগান। —নিজস্ব চিত্র।
রাস্তার দু’ধারে বালির স্তূপ, পাথরকুচি, আর মাটি। যত্রতত্র ছড়ানো আবর্জনা। দাঁড় করানো লরি, ম্যাটাডোর। যেন অস্থায়ী গ্যারাজ। ঘটছে দুর্ঘটনা। নাকে রুমাল চাপা দিয়ে পথচলতি মানুষ। বিটি রোডের ধারের এই ছবিটা বদলাচ্ছে টিটাগড় পুর এলাকায়। কিছু জায়গায় হবে সৌন্দর্যায়ন। পুরসভার উৎসাহে এগিয়ে এসেছে কিছু বেসরকারি সংস্থা।
টিটাগড় পুরসভার অন্তর্গত বিটি রোডের পশ্চিম পাড়ের সিইএসসি-র টিটাগড় জেনারেটিং স্টেশন সংলগ্ন ৫০ মিটার এলাকার সৌন্দর্যায়ন হয়ে গিয়েছে। সংস্থার সীমানায় আরও ১০০ মিটারের কাজ হবে। ওই সংস্থার দেওয়াল ঘেঁষে আট ফুট চওড়া জায়গা লোহার বারের সঙ্গে ছ’ফুট তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়েছে। বিভিন্ন বাহারি গাছ আর ঘাসে সেই বাগান সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছে সিইএসসি। রক্ষণাবেক্ষণে হাত মেলাবে ওই সংস্থা ও টিটাগড় পুরসভা। সিইএসসি টিটাগড় জেনারেটিং স্টেশনের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার (ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন) ফণীন্দ্র চল জানান, কোম্পানির সোশ্যাল রেসপন্সেবিলিটি (সিএসআর) তহবিলের টাকায় এই উদ্যোগ। বাকি অংশও ওই তহবিল থেকেই খরচ হবে।
তৃণমূল অধিকৃত টিটাগড় পুরসভার পুর প্রধান প্রশান্ত চৌধুরী বলছেন, “বিটি রোডের দু’ধার আবর্জনা মুক্ত করে সাজানো পুরসভার একার সম্ভব ছিল না। যেহেতু এলাকায় কয়েকটি কারখানা রয়েছে। তাই এ কাজে তাদের সহযোগিতা চেয়েছিলাম। প্রথমে এগিয়ে এসেছে সিইএসসি।” টাটা গেটের কাছে বিটি রোড ১২০ ফুট চওড়া। কাজ শুরু হল এখানেই। বিটি রোডের কোথাও চওড়া কমে ৭০ বা ৮০ ফুট হয়েছে। সেখানে বাগান হবে না। টিটাগড় পুরসভা সূত্রে খবর, পরিকল্পনা রয়েছে পূর্ব এবং পশ্চিম দু’পাড়ই সাজানো হবে। বিটি রোডে পিডব্লুডি-র কাজ শেষ হলে বাসস্ট্যান্ড, ফোয়ারা ও ছোট ছোট বাগানে হবে। এই পুর এলাকায় বিটি রোডের ধারে যে সব সংস্থা রয়েছে তাদের সাহায্য নেওয়া হবে। তবে প্রশান্তবাবু জানান, পাশাপাশি বিএসইউপি খাত থেকেও পুরসভা সৌন্দর্যায়নে খরচ করবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এখনও বিটি রোডের দু’ধারে লরি, ম্যাটাডর দাঁড়াচ্ছে। পরেও যদি তাই হয়। তা হলে এত খরচের কোনও মানে হবে না। সিইএসসি-ও প্রথম থেকেই পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি দাবি করেছে। প্রশান্তবাবুর দাবি, কাজ শেষে অস্থায়ী ভাবে ফিতে দিয়ে বিটি রোডের দু’ধার ঘিরে দেওয়া হবে।
প্রতিবেশী পানিহাটি পুরসভার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, পুরসভার সামান্য তহবিল থেকে টাকা খরচে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকে। ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময়েই সৌন্দর্যায়ন করা যায় না। তা সত্ত্বেও এই কাজে উৎসাহ নিয়ে টিটাগড় পুরসভা এগিয়ে আসাটা অন্যান্য পুরসভার কাছে একটা পাঠ তো অবশ্যই। তবে বিটি রোডের পরিস্থিতি কতটা বদলাল সেটা সময় বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy