বাসের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের ‘সিদ্ধান্তহীনতা’য় প্রায় আড়াই হাজার বাস বাতিল হওয়ার মুখে বলে দাবি বেসরকারি বাসমালিক সংগঠন ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’, ‘বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট’, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-সহ মোট চারটি সংগঠনের। এ ছাড়াও রয়েছে জাতীয় সড়কে টোল ট্যাক্সের চাপ এবং জরিমানা আদায়ের নামে যথেচ্ছ পুলিশি জুলুমের অভিযোগ। সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার অবিলম্বে পদক্ষেপ না করলে ২২-২৪ মে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে যাওয়ার কথা জানালেন ওই চার সংগঠনের নেতৃত্ব।
সমস্যা মেটাতে ১৫ বছরের মেয়াদ ফুরিয়ে আসা বাসের আয়ু যাতে কিছুটা বাড়ে, সেই লক্ষ্যে উদ্যোগী হতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও একাধিক বার প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে বাসের আয়ু বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করেছেন।
সেই ভরসায় বাসের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবিতে দু’টি পৃথক মামলায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাসমালিকেরা। তার মধ্যে প্রথমটিতে ২৪এ/ ১ রুটের ৩৯টি বাসের মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি ছিল। ওই মামলায় সরকারের পক্ষ থেকে কেউ হাজিরা দেননি। মামলার রায়ে বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় বাসমালিকদের আবেদন খতিয়ে দেখে পরিবহণ দফতরকে উপযুক্ত নির্দেশিকা জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। দফতর নির্দেশিকা জারি না করায় মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া বাস নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিকেরা। ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই রুটে ছুটছে ওই সব বাস। এমন সমস্যা আরও রুটে বলে অভিযোগ বাসমালিক সংগঠনের। সংগঠনের তরফে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘উদ্ভূত সমস্যায় সরকার হস্তক্ষেপ না করলে বেসরকারি গণ পরিবহণ ভেঙে পড়বে। এর প্রতিকার চাইছি।’’
বাসমালিক সংগঠন সূত্রে খবর, মেয়াদ বৃদ্ধির দাবি নিয়ে অন্য মামলা এখনও বিচারাধীন। ওই মামলা প্রসঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী নিজে বাসের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা বললেও সরকারি কৌঁসুলি আদালতে ভিন্ন মত ব্যক্ত করেছেন। সরকার একাধিক শুনানিতে সময় চেয়েছে। মামলা ঝুলে থাকা নিয়ে উদ্বেগে বাসমালিক সংগঠন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)