পরিতোষ দাস
ভিড়ে ঠাসা ধাবার সামনে আচমকা এসে দাঁড়াল একটি গাড়ি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ি থেকে চার যুবক নেমে ধাবার সামনে দাঁড়ানো এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে লাগলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবক মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা।
কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। ঘোর বাস্তব। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর ট্র্যাফিক মোড়ে।
পুলিশ জানায়, বছর তিরিশের ওই যুবকের নাম পরিতোষ দাস। ঘোলা থানার মানিকডাঙা এলাকার বাসিন্দা পরিতোষ ইমারতি দ্রব্য ও গাড়ি সরবরাহের ব্যবসা করেন। এলাকায় তিনি তৃণমূলের কর্মী বলেও পরিচিত। আপাতত পরিতোষকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা এখন স্থিতিশীল। ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (জোন-২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু সূত্র মিলেছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’ পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায়ই সোদপুর ট্র্যাফিক মোড়ের ওই ধাবা থেকে খাবার কিনে নিয়ে যেতেন পরিতোষ। সেই মতো ওই রাতেও বাইক নিয়ে ধাবায় এসে খাবারের অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। আচমকাই কামারহাটির দিক থেকে একটি গাড়ি এসে ধাবার সামনে দাঁড়ায়। গাড়িতে যে দুষ্কৃতীরা রয়েছে, ভিড়ে ঠাসা দোকানে কেউই প্রথমে বুঝতে পারেননি। অনেকেই ভেবেছিলেন, কেউ হয়তো খাবার কিনতে এসেছেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেই ভুল ভাঙে। চার দুষ্কৃতী পরিতোষের সামনে এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। ওই যুবকের পায়ে, হাতে ও বুকে গুলি লাগে। তিনি লুটিয়ে পড়তেই গাড়িটি টিটাগড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
এই দৃশ্য দেখে আতঙ্ক আর ভয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেন অনেক ক্রেতা ও পথচারী। স্থানীয়েরাই হাসপাতালে নিয়ে যান পরিতোষকে। খবর পেয়ে খড়দহ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো কারও সঙ্গে ওই যুবকের শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy