প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক ব্যবসায়ীকে। ধৃতের নাম ধর্মেন্দ্র বেরি।
পুলিশ জানায়, বিবিরহাটের বাসিন্দা অমিত চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীর অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহের লাইসেন্স রয়েছে। বছর দেড়েক আগে ছত্রিশ হাজার মিটার কাপড় সরবরাহের বরাত পান তিনি। টেন্ডারের মাল সরবরাহের জন্য ধর্মেন্দ্র ও মহেশ বেরি নামে শহরের দুই ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন অমিতবাবু। তাঁর অভিযোগ, ধর্মেন্দ্র ও মহেশ বারবার নির্দিষ্ট দিনে মাল সরবরাহ করতে বিফল হন। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মেন্দ্র ও মহেশের মাধ্যমে গত বছর মে মাসে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কাপড় সরবরাহের কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিন বার সময় দিয়েও সেই কাপড় পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। গত ৬ তারিখ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে সেই কাপড় সরবরাহ হলেও তার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পরেই অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির তরফে অমিতবাবুর কাছে সাড়ে চার কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়। পুলিশকে লিখিত অভিযোগে অমিতবাবু জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্র ও মহেশের প্রতারণার জেরেই তিনি সময়মতো সামগ্রী সরবরাহ করতে পারেননি। গত ১৬ অগস্ট অমিতবাবু ধর্মেন্দ্র ও মহেশের বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এর পরে শুক্রবার ধর্মেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারিজাত চক্রবর্তী তাঁকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দেন। পুলিশ জানায়, আর এক অভিযুক্ত মহেশ ফেরার। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy