Advertisement
E-Paper

বিচারপতির নামে পোস্টার, রাজ্য কি কিছুই করেনি? রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট

হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের বিক্ষোভ চলাকালীনই তাঁর নামে পোস্টার পড়ে বিচারপতির পাড়ায়। তা নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ প্রসঙ্গেই জবাব তলব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৬
বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার ফেলার ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে।

বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার ফেলার ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল হাই কোর্টে। ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতির নামে তাঁর পাড়ায় পোস্টার পড়েছিল। সেই ঘটনায় প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে, তা জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। এ ব্যাপারে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ। রাজ্যকে তারা এই রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছে।

হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের বিক্ষোভ চলাকালীনই তাঁর নামে পোস্টার পড়ে তাঁর পাড়ায়। দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে বাড়ি বিচারপতি মান্থার। সেই এলাকায় ছেয়ে যায় তাঁর সম্পর্কে নিন্দামূলক পোস্টারে। যেখানে বিচারপতির ছবির উপরে লেখা ‘‘লজ্জা’’। পাশে তাঁর নাম উল্লেখ করে লেখা ‘‘বিচারপতি মান্থা বিচারের নামে কলঙ্ক’’। এই পোস্টার লাগানোর ঘটনাতেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। তার পাল্টা হলফনামা দেবেন মামলাকারীও।

বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে পোস্টার মামলায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং আইনজীবী শামিম আহমেদ জনস্বার্থ মামলা করেন হাই কোর্টে। তাঁরা এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিকাশরঞ্জন সওয়াল করেন, ‘‘৪-৫ দিন হয়ে গিয়েছে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে জানা যায়নি। যাঁরা পোস্টার লাগিয়েছে, যাঁদের নির্দেশে এই কাজ করা হয়েছে, তাঁদের খুঁজে বার করার কাজ পুলিশ শুরু করেছে কি না, তা-ও অজানা।’’ এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই রাজ্যের কাছে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জানতে চায় হাই কোর্ট। আগামী ৩০ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত গত সোমবার বিচারপতি মান্থার নামে পোস্টার পড়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট চত্বরে এবং তাঁর পাড়ায়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার একটি এফআইআর দায়ের করে লেক থানার পুলিশ। আলিপুর আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই এফআইআর দায়ের করা হয়।

Justice Rajasekhar Mantha Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy