Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata High Court

Calcutta High Court: ধাক্কা বিজেপির, গণনায় হস্তক্ষেপ নয়, কাঁথির ভোট নিয়ে কমিশনের রিপোর্ট চাইল হাই কোর্ট

ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং অবাধ হয়নি, এই অভিযোগ তুলে কাঁথির ভোট গণনা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি।

বিজেপির তরফে হাই কোর্টে মামলা করেন সৌম্যেন্দু অধিকারী।

বিজেপির তরফে হাই কোর্টে মামলা করেন সৌম্যেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২২ ১৩:৫৮
Share: Save:

কাঁথি পুরভোটের গণনায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাই কোর্ট। তবে আগামিদিনে আদালতের নির্দেশের প্রভাব পড়তে পারে ওই ফলাফলের উপর। মঙ্গলবার এমনটাও জানিয়ে রাখল উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে কাঁথির ভোটে অশান্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে হাই কোর্ট।

ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং অবাধ হয়নি, এই অভিযোগ তুলে কাঁথির পুরভোট বাতিল এবং গণনা পিছনোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবার এই মামলায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ভোটকেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে কমিশনকে। তবে গণনা পিছনোর যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।

বুধবার রয়েছে পুরভোটের ফল ঘোষণা। সেই ফল বেরনোর পর যদি মামলাকারীর আবেদন সঠিক বলে মনে হয় তখন আদালত ওই ফল বাতিল করতে পারে বলেও জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সবটাই নির্ভর করবে তথ্য প্রমাণের উপর। পাশাপাশি, কাঁথির ভোটে অশান্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়ে রাজ্য এবং কমিশনের কাছে রিপোর্ট চায় হাই কোর্ট।

উল্লেখ্য, এই জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী। সোমবার তাঁর আইনজীবী পরমজিৎ পাটোয়ালি আদালতে জানান, সুষ্ঠু ও অবাধে কাঁথি পুরভোট হয়নি। তাই নতুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হোক। তাঁর আরও দাবি, ওই পুরসভায় ৯৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯১টি ভাঙা হয়েছে। অনেকগুলি ক্যামেরা কাজই করেনি ভোটের দিন।

ওই ক্যামেরাগুলি নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে অডিট করানোর দাবি করেছে বিজেপি। তার ফলে বুথ দখল, ছাপ্পার ঘটনা পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে তারা। সেই কারণেই এখন গণনা বন্ধ রাখার আর্জি করা হয়।

অন্য দিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র জানান, তাঁদের কিছুটা সময় দরকার। যে অভিযোগগুলি উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আইএএস অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছিলাম। অনুসন্ধান করে তাঁদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে তবেই এ নিয়ে বলব।’’ একই বক্তব্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়েরও।

আবার এই মামলায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে যুক্ত করা হয়েছে। যদি সিসিটিভি অডিট হয়, তবে তাদের ভূমিকা থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১১ মার্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE