কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের ফটকের কাছের ফুটপাথে হকারদের জবরদখল করে বসা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল হাই কোর্টে। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও পুরপ্রশাসন হকার উচ্ছেদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে মামলাও হয়েছে হাই কোর্টে। সম্প্রতি এ বিষয়ে পুরসভার থেকে হলফনামা তলব করেছে আদালত। দু’বছর আগের নির্দেশ মোতাবেক কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পুর কমিশনারকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে।
কলকাতা শহরের হকার সমস্যা নিয়ে অতীতেও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরেও হকার উচ্ছেদের বিষয়ে পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। কিন্তু মঙ্গলবার হাই কোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশের পরেও পুরসভার তরফে গাফিলতি থেকে যাচ্ছে। আদালতে পুরসভার তরফে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী অলোককুমার ঘোষ। তিনি বাস্তব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন এজলাসে। পুরসভার তরফে জানানো হয়, অনেক ক্ষেত্রে উচ্ছেদ করার পরেও হকারেরা আবার আগের জায়গায় এসে বসে পড়ছেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে পুর কমিশনারকে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন:
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুর প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা হলফনামায় জানাতে বলা হয়েছে। এখনও যে সব ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছে, সেখান থেকে হকারদের সরাতে কী পদক্ষেপের কথা ভাবছে পুরসভা, তা-ও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কত দিনের মধ্যে ওই পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা রয়েছে, সেই সময়সীমার কথাও জানাতে হবে আদালতকে। পাশাপাশি শহরের কোন কোন এলাকায় হকারেরা বসতে পারবেন, তা চিহ্নিত করার জন্যও অতীতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে, তা-ও হলফনামা জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।