কম-বেশি পাঁচ দশক বাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা ফিরিয়ে আনলেন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সেই বক্তৃতার আসরে উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ মনে করান, একদা মাখনলাল সেন, হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষের মতো পথিকৃৎ সাংবাদিকেরা এই বক্তৃতা দিয়েছেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ও ওড়িশা রিসার্চ সেন্টারের সমন্বয়ে ওড়িশার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশ শতকের গোড়ার পর্বে সাংবাদিকতা-চর্চার গুরুত্বপূর্ণ মুখ, প্রজাতন্ত্র পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক হরেকৃষ্ণ মহতাবের ১২৫তম জন্মবর্ষও পালন করা হল।
এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির চন্দ্রমুখী-কাদম্বিনী সভাগৃহে হরেকৃষ্ণ মহতাবের সাংবাদিকতা ভাবনা এবং রাষ্ট্র গঠনে অবদান নিয়ে বললেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শতবার্ষিকী অধ্যাপক ভাস্কর চক্রবর্তী। হরেকৃষ্ণ মহতাবের রাজনৈতিক জীবন জাতীয় স্তরে এবং প্রাক্-স্বাধীনতা পর্বের ওড়িশায় কী ভাবে ভারতীয় গণতন্ত্রের বহু স্বরকে মিলিয়েছে, তা নিয়ে বলেন তিনি।
বাংলায় হরেকৃষ্ণ মহতাবের সাংবাদিকতা-চর্চা এবং জীবনের শেষ পর্বে ওড়িশায় জরুরি অবস্থার সময়ের কারাবাসের কথাও উঠে আসে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল কোয়ালিটি অ্যাশিয়োরেন্স সেলের প্রধান তথা সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান পীযূষকান্তি পাণিগ্রাহী জানান, হরেকৃষ্ণের ১২৫তম জন্মবর্ষের অনুষ্ঠান পালনের কর্মকাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কলকাতাকেও ডেকেছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ বছরের পুরনো সাংবাদিকতা বিভাগটি গড়ে ওঠার নেপথ্যে মডার্ন রিভিউ বা প্রবাসী খ্যাত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের ভাবনার বীজ জড়িয়ে থাকার কথা বলেন উপাচার্য। রামানন্দের মৃত্যুর বছর দুয়েক বাদেই ১৯৪৫ নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে স্মারক বক্তৃতা শুরু হয়। সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সৌম্যেন্দ্রনাথ বেরা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে এই গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতামালার প্রথম দিকের কিছু নথি যত্নে রাখা। কয়েক দশক বাদে এই বক্তৃতাটি ফেরানো গেল।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)