ভরা এজলাসে সাক্ষীকে প্রশ্ন করছেন তদন্তকারী সংস্থার কৌঁসুলি। অথচ সেই সাক্ষীর দায়ের করাঅভিযোগপত্র কৌঁসুলির কাছে নেই। মঙ্গলবার আর জি কর দুর্নীতি মামলায় এমনই দৃশ্য দেখল আলিপুর বিশেষ সিবিআই কোর্ট। সিবিআই কৌঁসুলির এই কাজ দেখে তাঁকে এবং মামলার তদন্তকারী অফিসারকে তিরস্কারও করেন বিচারক।ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
এ দিন থেকেই দুর্নীতি মামলার বিচার শুরুহয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক দেবল ঘোষের দায়ের করা অভিযোগকে এফআইআর হিসাবে গণ্য করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিন দেবলের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। কাঠগড়ায়উপস্থিত ওই সরকারি অফিসারকে মামলা সংক্রান্ত কয়েকটি প্রশ্ন করার পরে বিচারকের উদ্দেশে সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন, ‘‘এইঅফিসারের দায়ের করা আসল অভিযোগপত্র এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। ওই অভিযোগপত্র না থাকলে জেরা করা সম্ভব হচ্ছেনা। আমি সাত দিনের সময় প্রার্থনা করছি।’’
কৌঁসুলির এই কথা শুনে বিচারক অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এটা কি খামখেয়ালিপনাচলছে? আদালতে এসেছেন, অথচ সম্পূর্ণ নথি নিয়ে আসেননি! নাকি মিথ্যা কথা বলছেন?’’ সিবিআইয়ের কৌঁসুলি বলেন,‘‘হয়তো নথিটি অন্য কোথাও আছে। এই মুহূর্তে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’’ তা শুনে বিচারকবলেন, ‘‘পাঁচ জন অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।এই ধরনের খামখেয়ালিপনা বরদাস্ত করা হবে না। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি হলে কঠোরতম আইনি পদক্ষেপ নেওয়াহবে।’’ মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জুলাই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)