Advertisement
E-Paper

সিসি ক্যামেরায় মোড়া হবে শহরের তিন আদালত চত্বর

পথেঘাটে বা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজর রাখতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে লালবাজার। এ বার ব্যাঙ্কশাল, আলিপুর এবং শিয়ালদহ আদালত চত্বরেও সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, তিনটি আদালতে রোজ বহু আসামিকে বিচারের জন্য আনা হয়।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২৮

আদালতের নিরাপত্তাতেও এ বার ‘যন্ত্র চোখের’ নজরদারি!

পথেঘাটে বা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নজর রাখতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে লালবাজার। এ বার ব্যাঙ্কশাল, আলিপুর এবং শিয়ালদহ আদালত চত্বরেও সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, তিনটি আদালতে রোজ বহু আসামিকে বিচারের জন্য আনা হয়। তার মধ্যে জঙ্গি-সহ গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিরাও থাকেন। আনাগোনা লেগে থাকে প্রচুর মানুষের। ফলে নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানগুলির নিরাপত্তা বা়ড়ানো প্রয়োজন।

অনেকেই বলছেন, আলিপুর এবং শিয়ালদহ আদালতের আশপাশে ভিড় এবং সার সার দোকান দেখলে হাট বলে ভুল হতে পারে।
কিন্তু আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ, সেই তুলনায় নিরাপত্তা পর্যাপ্ত নয়। লালবাজার সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তাঁরা।
আলিপুর আদালতের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতার কথায়, ‘‘এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এর প্রয়োজন ছিল।’’ শিয়ালদহ আদালতের ফৌজদারি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অসীম কুমার বলেন, ‘‘এই আদালত ঘিঞ্জি এলাকায়। তার উপরে নিরাপত্তাও তুলনামূলক কম। সিসি ক্যামেরা বসালে উপকারই হবে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, আদালত চত্বরের ঢোকা-বেরোনোর পথ, প্রতিটি তলা, সিঁড়ির মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। পূর্ত দফতর ক্যামেরা বসালেও তার দেখভাল এবং নজরদারি করবে পুলিশ। প্রতিটি আদালত চত্বরে একটি করে নজরদারি ঘর তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশের একাংশের দাবি, বর্তমানে কোনও জঙ্গি বা গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামির হাজিরা থাকলে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। কিন্ত তা সত্ত্বেও এই নজরদারির প্রয়োজন উপলব্ধি করেছিলেন লালবাজারের শীর্ষকর্তারা। এক পুলিশকর্তা জানান, সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়ে প্রতিটি আদালতের নিরাপত্তার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের কাছে সবিস্তার রিপোর্টও চাওয়া হয়েছিল।

পুলিশের একাংশ জানান, শহরে বাংলাদেশি জঙ্গিদের ঘাঁটির হদিস মিলেছে। অভিযোগ উঠেছে, বেশ কিছু ভিনদেশি নাগরিক কোনও নথিপত্র ছাড়াই হকার হিসাবে ব্যবসা করছে। বহু ক্ষেত্রে হকারের দোকানের আড়ালে অবৈধ কাজকর্ম নিয়েও অভিযোগও আসছে। সিসি ক্যামেরা বসানো হলে আদালত চত্বরের আশপাশে হকার এবং পার্কিং লটেও নজরদারি সম্ভব হবে। সম্প্রতি ব্যাঙ্কশাল আদালতে অল্প দিনের ব্যবধানে দু’বার আগুন লেগেছিল। কী ভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ সবের উপরেও নজরদারি থাকবে যন্ত্র চোখের।

CCTV Camera Surveillance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy